বাইবেলের ভবিষ্যৎবানী করোনা ভাইরাস সংখ্যা 666 কি?
লেখকঃ S.Murmu
যখন বিশ্ব করোনাভাইরাসের জর্জরিত, তখন আমি দেখেছিলাম, কিছু খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসীদের মাধ্যমে/দ্বারা, সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি সংখ্যা যার সংখ্যা নং হচ্ছে 666 এই সংখ্যা বহু খ্রিষ্টীয় প্যাজ ও গ্ৰুপে শেয়ার করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই পোস্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছিল। মজার ব্যাপার আমাদের খ্রিষ্টীয় সমাজে কিছু উচ্চ অঙ্কবিদ্যাবিৎ/ গণিতজ্ঞ (Mathematician) ব্যক্তিরা রয়েছে, যারা খুবই ভালো অঙ্ক কষতে নিতে পারছিল। সেই উচ্চ খ্রিষ্টীয় গণিতজ্ঞদের একটু অঙ্ক দেখে নেওয়া যাক!
C=3
O=15
R=18
O=15
N=14
A=1
______________________
6 66=666
Photo by Fusion Medical Animation on Unsplash |
দেখলেন তো সেই উচ্চ জ্ঞানী অঙ্কশাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তিদের অঙ্ক। এই সংখ্যাকে সেই জ্ঞানী ব্যক্তিরা বাইবেলে অন্তিম দিনের ভবিষ্যৎবানীর সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছদিচ্ছিল যা প্রকাশিত বাক্যেয় লেখা রয়েছে। বাইবেলে এই 666 সংখ্যা কিসের প্রতীক বলা হয়েছে? চলুন একটু বাক্য দেখে নেওয়া যাক যথা;
এখানে আমরা বাইবেলে স্পষ্টক্ষরে দেখতে পাচ্ছি বা লিখিতি রয়েছে এই 666 (৬৬৬) সংখ্যা এটি মানুষের সংখ্যাকে বোঝান হয়েছে, যেই সংখ্যা সেই পশুর দ্বারা ডান হাত আর কোপালে ছাপা দেওয়া হবে। যারা সেই ছাপ স্বীকার করবে না, তখন মানুষ কেনাবেচা ও করতে পারবে না। এবং সেই 666 সংখ্যা যারা ধারণ করবে না, সেই খ্রিষ্টীয় বিরুদ্ধে শাষক সেই লোকদের মেরে ফেলবে। খুব ভয়ংকর দিনে আসতে চলেছে যা আপনি কল্পনা ও করতে পারবেন না। আমরা দেখলাম 666 সংখ্যা হচ্ছে মানুষের সংখ্যা বোঝান হয়েছে নাকি ভাইরাসের সংখ্যা। সেই ভণ্ডামি খ্রিষ্টীয় গণিতজ্ঞদের নিয়ে বাইবেলের বাক্য কি বলে একটু দেখে নেওয়া যাক;
[প্রকাশিত বাক্য ২২:১৮-১৯] যাহারা এই গ্রন্থের ভাববাণীর বচন সকল শুনে, তাহাদের প্রত্যেক জনের কাছে আমি সাক্ষ্য দিয়া বলিতেছি, যদি কেহ ইহার সহিত আর কিছু যোগ করে, তবে ঈশ্বর সেই ব্যক্তিতে এই গ্রন্থে লিখিত আঘাত সকল যোগ করিবেন; আর যদি কেহ এই ভাববাণী-গ্রন্থের বচন হইতে কিছু হরণ করে, তবে ঈশ্বর এই গ্রন্থে লিখিত জীবন-বৃক্ষ হইতে ও পবিত্র নগর হইতে তাহার অংশ হরণ করিবেন।
এখানে বাইবেল বলছে সেই উচ্চ খ্রিষ্টীয় গণিতজ্ঞদের মন ফেরা উচিত। কারণ বাইবেলে স্পষ্টক্ষরে বলেছে 666 সংখ্যা হল খ্রিষ্টীয় বিরোধীর ছাপ। এই সংখ্যাটি মানুষের কোন ভাইরাসের নয়। তারা নিজের বুদ্ধি দিয়ে অঙ্ক কষেছেন। বাইবেলের ভবিষ্যৎবানী অন্য কোন ভবিষ্যৎবানীর সঙ্গে জুড়িত করছেন। আমরা অন্তিম যুগের দিনে চলছি। অন্তিম দিন তখন থেকেই শুরু হয়েছে যখন প্রভু যীশু এই জগতে এসছিলেন যেমন উদাহরণস্বরূপ এই বাক্যে দেখে নিতে পারেন যথা; (ইব্রীয় ১:২)। মনে রাখবেন অন্তিম যুগ/ শেষকাল কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু মহাক্লেশ কালের কথা নয়, এই মহাক্লেশকাল Repture পরে শুরু হবে। অন্তিম দিনে অনেক ভণ্ডামি খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী লোক আবির্ভাব হবে। এবং তারা বাক্যকে নিজের ইচ্ছায় ব্যাক্ষা দিবেন। তাই সাধূ পিতর তাঁর পএে বলেছিলেন, কি বলেছিলেন একটু বাক্যে দেখে নেওয়া যাক যথা;
[২ পিতর ৩:১৬] আর যেমন তাঁহার সকল পত্রেও এই বিষয়ের প্রসঙ্গ করিয়া তিনি এই প্রকার কথা কহেন; তাহার মধ্যে কোন কোন কথা বুঝা কষ্টকর; অজ্ঞান ও চঞ্চল লোকেরা যেমন অন্য সমস্ত শাস্ত্রলিপি, তেমনি সেই কথাগুলিরও বিরূপ অর্থ করে, আপনাদেরই বিনাশার্থে করে।
সাধূ পিতর পৌলের কথাকে তুলে ধরে বোঝা ছিলেন যে, বাইবেলের কথা অনেকে লোকের তা বোঝা দুষ্কর। যখন বুঝতে পারবে না তখন তারা বিরুপ অর্থ মানে ভূল ব্যাক্ষা করবেন। এই ব্যাক্ষা তারা নিজেরাই সর্বনাশ নিয়ে আসে। তদ্রুপ এই করোনা ভাইয়ের সংখ্যা 666 বিরূপ অর্থ। বাক্যে খুব সুন্দর একটি কথা বলেন বাক্যে কি কথা বলেন তা জানতে এই বাক্যে দেখুন যথা; (১ তীমথিয় ৪:১-২)। সুতরাং এই বাক্য হিসেবে বলা যায় যে, যারা অন্ধের মতো সব কিছু শেয়ার করে এবং আমেন, হাল্লিলূয়া টাইপ করেন তারা ভূতগণের শিক্ষায় বিশ্বাস করেছেন। এই করোনা ভাইরাসের শিক্ষা যার সংখ্যা 666 বাইবেলের শিক্ষা নয়। তাছাড়া এই শিক্ষার সঙ্গে বাইবেলের কোন তাল মিল নেই।
উপসংহারঃ- আমরা বাইবেল থেকে অধ্যয়ন করে জানলাম, যে করোনা ভাইরাস সংখ্যা 666 (৬৬৬) নয়। এটি একটি নামধারী খ্রিষ্টানদের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর শিক্ষা ছড়ানো হয়েছে। বাইবেল আমাদের স্পষ্ট ভাবে শিক্ষাদেয় যেন আমরা অন্ধের মতোন কোন শিক্ষা গ্ৰহণ না করি। সেই শিক্ষা যেন আমরা বাইবেল ভিত্তিক পরিক্ষা করি আদৌও বাইবেলের শিক্ষা কি? নাকি বক্তা নিজের ভাবে ব্যাক্ষা করছেন যেমন বিরিয়ার যিহুদী লোকেরা পৌলের শিক্ষাকে পরিক্ষা করেছিলেন যথা; (প্রেরিত ১৭:১১)। শাস্ত্র আমাদের শিক্ষাকে যাচাই করতে বলেছেন। শিক্ষাকে যাচাই করা কোন ভূল নয়। যখন প্রভু যীশু খ্রিষ্ট এই জগতে এসছিলেন তখনও তিনি শিক্ষাকে যাচাই করার অনুমতি দিয়েছেন। যিহূদীরা তন্য তন্য করে বাইবেলে অনুসন্ধান করত যেমন এই বাক্য বলে; (যোহন ৫:৩৯)। এমনকি এই কথা পুরাতন নিয়মেও দেখতে পাওয়ায় যেমন বাক্য বলে; (যিশাইয় ৩৪:১৬)।
ঈশ্বর সকলেকে বোঝার মত জ্ঞান প্রদান করুন। আমেন।।
0 Comments