খ্রিষ্টীয়ান একজন অ-খ্রিষ্টীয়ানকে বিয়ে করতে পারে?Can Christians Marry Non-Christians?

একজন খ্রিষ্টান নন খ্রিষ্টানকে অর্থাৎ খ্রীষ্টিয়ান নয় এমন  কাউকে বিয়ে করা উচিত কি? 

লেখকঃ S.Murmu

আজকের বিষয় বস্তু যারা এখন ও বিয়ে করেননি, বা যারা এখনও বিয়ের প্রস্তাব খুঁজে বেড়াচ্ছেন অর্থাৎ যুবক ও যুবতীদের উদ্দেশ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা আপনি বিশ্বাসী হোন বা না হোন। অবশ্যই অবিশ্বাসীদের কাছে এটি কোন মহত্ত্ব রাখে না কিন্তু বিশ্বাসী যুবক ও যুবতীদের কাছে অনেক মহত্ত্ব রাখে অনুগ্ৰহ করে সকলে ধৈর্য্য সহকারে সম্পূর্ণ লেখা অনুসরণ করুন। আপনার একটি ভুলের জন্য হয়তো আপনাকে সারাটি জীবন অনুতাপ করতে হতে পারে এমনকি আপনার আত্মিক জীবন নষ্ট হয়ে পাপের পথে পতিত হতে ও পারেন। কারণ বিয়ের বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ তো চলুন কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আলোচনার দিকে অগ্রসর হই।


বর্তমান দিনে আমাদের যুবক ও যুবতীদের একটি বড় সমস্যা বিয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। দেখা গেছে এখন আমাদের যুবক ও যুবতীদের জাগতিক প্রভাব এতোটাই পড়ে গেছে যা বলা বাহুল্য। বর্তমান দিনে গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড যেন সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে। একজন খ্রিষ্টান যুবক ও যুবতী। খ্রিষ্টান নয় এমন কোন ছেলে বা মেয়ের প্রেমে পড়ে, প্রেমের সাগরে ভেসে বেড়ায় আর প্রেমে অন্ধ হয়ে, একজন অবিশ্বাসী ছেলে বা মেয়েকে বিয়েই করে ফেলে কিন্তু বাক্য কি বলে একটু দেখে নেওয়া যাক যথা;

[২ করিন্থীয় ৬:১৪-১৫] তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে যোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্ম্মে ও অধর্ম্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা? আর বলীয়ালের [পাপদেবের] সহিত খ্রীষ্টের কি ঐক্য? অবিশ্বাসীর সহিত বিশ্বাসীরই বা কি অংশ?

এখানে বাক্য সুস্পষ্ট ভাবে বলছে একজন খ্রিষ্টান নন খ্রিস্টান বিশ্বাসীর সঙ্গে আবদ্ধ যেন না হয়। খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী যুবক ও যুবতীদের বলছে তোমাদের অবিশ্বাসীদের সঙ্গেই বা কি সম্পর্ক? ধর্ম্মে ও অধর্ম্মে কি সম্পর্ক? যখন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয় মানে নিজের সারাটি জীবনের জন্য একজন জীবন সঙ্গি বেছে নিতে হয় মানে বিয়ে কথা বলা হচ্ছে। তখন কোন ভাবেই একজন বিশ্বাসী অবিশ্বাসীকে  বিয়ে করতে পারে না। অবিশ্বাসী বলতে যারা খ্রিষ্টীয়ান নয়। তা হিন্দু হোক, মুসলিম হোক, জৈন হোক, বৌদ্ধ হোক, শিখ হোক এমন কি সাঁওতাল/ আদিবাসী হোক। তাদেরকে বিয়ে করতে নিষিদ্ধ করেছেন অবিশ্বাসীদের কোনো ভাবেই বিয়ে করা উচিত নয়। বিশ্বাসী হয়ে যদি আপনার কোনো মেয়ে বা ছেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে তা সেই সম্পর্কে আপনাকে ভেঙে ঈশ্বরের কাছে আসতেই হবে।

ভাবনাত্মায় যে, আপনি আপনার সঙ্গিকে ধোকা দিচ্ছেন তা কিন্তু নয়। প্রথমতঃ আপনি ভুল ছিলেন সেই সম্পর্ক আপনাকে বিনাশের পথে নিয়ে যাবে। কখন যে আপনি ঈশ্বর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন আপনি ও নিজে খুঁজে পাবেন না। অনেকে বলে থাকে না যে, আমি তো তাকে ভালোবাসি। বিয়ে করার পর তাকে বিশ্বাসী বানিয়ে নিয়ে নেব। এমনকি কিছু লোক তা পাস্টার হোক বা বিশ্বাসী হোক তারা ও বলে যে, এখন তো তোমাদের সম্পর্ক অনেকটাই এগিয়েছে গেছে, এক কাজ করো তুমি তাকেই বিয়ে করো পরে তাকে বিশ্বাসী (খ্রিষ্টীয়ান) বানিয়ে নাও। এই গুলি যত সব ভুল যুক্তি বাইবেল এইভাবে কোন কিছু শিক্ষা দেয় না। কাউকে বিশ্বাসী বানানো আপনার হাতে নয়। তাই তো ঈশ্বর বলেন যথা;

[২ করিন্থীয় ৬:১৭ SBCL] ঈশ্বর আরও বলেছেন, “এইজন্য তোমরা অবিশ্বাসীদের মধ্য থেকে বের হয়ে এস ও আলাদা হও। কোন অশুচি জিনিস ছুঁয়ো না, তাহলে আমি তোমাদের গ্রহণ করব।”

একজন বোনের কথা আমরা এখানে সংক্ষেপে বলতে চাই।  একটি সাক্ষ দিয়ে ছিলেন নিজের পরিবারের সম্পর্কে। বোনটি বলছিল যে, তার একজন ভাই ছিল। সে একজন অবিশ্বাসী মেয়েকে ভালোবাসতো, ভালোবেসে বিয়ে করে ছিল। বিয়ে করার পর তাদের অশান্তি শুরু হয়ে যায় শুধু পরিবারের অশান্তি। তার শশুর, শাশুড়ি মশাই বলত যে, তুমি তোমার পরিবার থেকে আলাদা হোও এবং আমাদের দেব-দেবী সেবা কর, তাদের দেব-দেবী নিয়ে অনেক কিছু করতে বলা হত, যেন খ্রিষ্টীয় জীবনের সঙ্গে অনেক কিছু চুক্তি করতে হতো। এইভাবে তার ভাই ঈশ্বরের কাছ থেকে অনেক দূর হয়ে যায় বোনটি বলছিল নাকি তার ভাই আত্মিক জীবন নষ্ট প্রায় হয়ে গেছিল বাক্য ঠিকই বলে যেমন;

[১ করিন্থীয় ১৫:৩৩ SBCL“খারাপ সংগী ভাল লোককেও খারাপ করে দেয়।”

আপনারা দেখলেন সেই বোনের ভাইয়ের কি অবস্থা হয় বলে! অবিশ্বাসী কারও সাথে যে কোন ধরনের আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক খ্রীষ্টের সাথে আপনার চলার পথকে খুব দ্রুতই বাধাগ্রস্থ করতে পারে। আমাদের আহ্বান করা হয়েছে যেন আমরা হারানো আত্মাদের মানে অবিশ্বাসীদের কাছে সুসমাচার প্রচার করি, তাদের মত হবার জন্য নয়। অবিশ্বাসীদের বিয়ে সম্পর্কে বাইবেল একটি জবরদস্ত উদাহরণ দেয়। 

অবিশ্বাসীদের বিয়ে করার ফলে কি হতে পারে। আপনারা জানে রাজা দায়ের পুএ রাজা শলোমন এর ঘটনা। যেই শলোমন ঈশ্বরের গৃহ নির্মাণ করেছিলেন। যেই শলোমন বাইবেলের তিনটি পুস্তক ও লিখেছিলেন। যেই শলোমন মতো এই পৃথিবীতে কারও জ্ঞান ছিল না। তিনি জ্ঞান পরিপূর্ণ ছিলেন। ঈশ্বর ইস্রায়েলদেরকে বলে ছিলেন তারা যেন অন্য জাতিদের মেয়ে বা ছেলেদের বিয়ে না করে কিন্তু শলোমন সদাপ্রভু/ ঈশ্বরের বাক্যকে তীরস্কার করে অন্য জাতির মেয়েদের বিয়ে করেছিলেন। বিয়ে করার ফলে কি হয় একটু বাক্য দেখে নেওয়া যাক;

[১ রাজাবলি ১১:৩-৪] সাত শত রমণী তাঁহার পত্নী, ও তিশ শত তাঁহার উপপত্নী ছিল; তাঁহার সেই স্ত্রীরা তাঁহার হৃদয়কে বিপথগামী করিল। ফলে এইরূপ ঘটিল, শলোমনের বৃদ্ধ বয়সে তাঁহার স্ত্রীরা তাঁহার হৃদয়কে অন্য দেবগণের অনুগমনে বিপথগামী করিল; তাঁহার পিতা দায়ূদের অন্তঃকরণ যেমন ছিল, তাঁহার অন্তঃকরণ তেমনি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর ভক্তিতে একাগ্র ছিল না। 

দেখছেন শলোমন অন্য জাতি মেয়েদের বিয়ের করার ফলে কি হয়ে গেল। যেই শলোমন একদিন সদাপ্রভু/ ঈশ্বর কে ভয় করতো, সদাপ্রভু/ ঈশ্বর বাক্যের হিসেবে চলত, সেই শলোমন অন্য জাতির মেয়েদের বিয়ে করার ফলে ঈশ্বর বাক্যের বিপরীতে হয়ে উঠল। অন্য দেব-দেবীদের সেবা করতে থাকল, এবং দেখছেন কতোজন মেয়েকে বিয়ে করেছেন। 

মনে রাখবেন ঈশ্বর শলোমন এর পাপকেও তুলে ধরেছেন এই বাক্যের সাহায্য ভ্রান্ত ধারণায় চলে না যান যে, তার মানে ঈশ্বর বহু বিবাহকে সমর্থন করে বলে। আপনাকে জানিয়ে রাখি ঈশ্বর একের অধিক বিয়ে করার কখনও সমর্থন করে না। এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।  খ্রিস্টানরা কি একাধিক বিয়ে করতে পারে? ঠিক তদ্রুপ একজন খ্রিষ্টান যদি খ্রিষ্টান নয় এমন কোন মেয়ে বা ছেলেকে বিয়ে করে তো শলোমন মতোই দোসা হতে পারে। তাই বাইবেল কখনও অবিশ্বাসীদের সঙ্গে বিয়েকে সমর্থন করে না। 

একটা কথা মনে রাখবেন বিশেষত ছেলেদের ক্ষেত্রে। দেখা গেছে একজন খ্রিষ্টান ছেলে যদি অবিশ্বাসী মেয়েকে ভালোবাসে। তখন ওই মেয়ে প্রেমের মধ্যে এতোটাই হারিয়ে যায় যে, সেই মেয়টি সেই ছেলেটিকে ছাড়া যেন কিছুই দেখতে পায় না। তখন যদি আপনি হঠাৎ বলেন যে, আমি আর তোমাকে ভালোবাসতে পারি না। আমাদের মধ্যে যেই সম্পর্ক ছিল তা আজ থেকে শেষ হয়ে গেলে। তুমি নিজের হিসেবে নিজে থাকো। 

তখন সেই মেয়ে প্রেমকে না পাওয়ার বশতঃ বা অনেক কিছু ভাবতে শুরু করে দেয় যে, সে আমার শরীরের ফায়দা নিয়ে নিল, সে অন্যকে পেয়ে গেলে, তাঁর আর আমাকে ভালোলাগে না। তখন নিজেকে নিজে ক্ষমা করতে পারে না। এটাও ভাবতে শুরু করে দেয় যে, আমাকে আর কে বিয়ে করবে? আমি সমাজে কার কাছে আমার মুখ দেখাব? তো তখন একটাই উপায় খুঁজে বার করে যে, আমি নিজেকে নিজে শেষ করবো মানে আত্মহত্যা করে বসে। তাই সেই খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী ছেলে যে, ভুল-ই ছিল। 

আপনাকে সেই মেয়েকে বিনম্রতার সহিত সেই মেয়েকে বলতে হবে। আর আপনাকে বিস্তারিত বোঝাতে হবে। চাইলে আপনি ঈশ্বরের কথা বিস্তারিত বোঝান। এমনকি মণ্ডলীতে আহবান করতে ও পারেন, দেখা গেছে অন্ধ প্রেমিরা তাঁর আপজনের কথা হিসেবে মন্ডলীতে ও চলে আসে। যদিও আপনার কথা হিসেবে চলে আসে তবুও আপনি পূর্বে সম্পর্কে তরতাজা করার চেষ্টা করবেন না যেহেতু আপনি ভুল ছিলেন। 

বিয়ে করার পূর্বে কোন ভাবেই যৌন সম্পর্ক লিপ্ত হওয়া উচিত নয়। এই বিষয়ের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন। প্রথম ভাগ  বিয়ে করার পূর্বে/আগে শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত কি?  দ্বিতীয় ভাগ  বিয়ে করার পূর্বে/আগে শারীরিক সম্পর্ক  কি করা উচিত? খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী মেয়েদের ক্ষেত্রে খুবই বড় সমস্যা দাড়িয়ে যায় তখন, যখন তারা একজন অবিশ্বাসী ছেলেদের সঙ্গে এমন কিছু অন্তরঙ্গ অবস্থায় ছবি বা ভিডিও শুট করে থাকে/ রাখে। 

তাদের ভয় হয় কোথায় যদি ছেলেটি সেই সকল ছবি ভিডিও ছড়িয়ে না দেয়, আর জানা জানি হলে আমি কি করবো? এমনকি এমন অনেক খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী মেয়েরা রয়েছে যাদের সম্পর্ক এতোটাই বেড়ে গিয়ে থাকে যে, তখন মেয়েটি মনে করে আমি তো আমার যৌবনের শরীর তুচ্ছ করে ফেলেছি। যেই শরীর আমার স্বামীর জন্য পবিত্র রাখা উচিত ছিল। 

সেই শরীর তো একজনকে ভালোবেসে অপবিত্র করে ফেলেছি, এখন আমায় কোনো বিশ্বাসী ছেলেই বা বিয়ে করবে কোথায়? তখন তারা মনে করে চলো আমি যাকে ভালোবাসতাম তাকেই বিয়ে করে বসি। দেখুন আমার খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি কথাই বলি, যদি আপনি মন থেকে নিজের পাপের জন্য অনুতপ্ত হোন আর ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চান তো ঈশ্বর আপনাকে ক্ষমা করতে চান যেমন বাক্য বলে যথা;

[১ যোহন ১:৯-১০ SBCLযদি আমরা আমাদের পাপ স্বীকার করি তবে তিনি তখনই আমাদের পাপ ক্ষমা করেন এবং সমস্ত অন্যায় থেকে আমাদের শুচি করেন, কারণ তিনি নির্ভরযোগ্য এবং কখনও অন্যায় করেন না। যদি বলি আমরা পাপ করি নি তবে আমরা তাঁকে মিথ্যাবাদী বানাই, আর তাঁর বাক্য আমাদের অন্তরে নেই।

প্রথমতঃ আপনাকে নিজের পাপের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চেয়ে বিশ্বাস সহকারে ঈশ্বরকে পরিধান করলেই আপনি নূতন সৃষ্টি হয়ে যান যেমন বাক্য ও বলে যথা;

[২ করিন্থীয় ৫:১৭] ফলতঃ কেহ যদি খ্রীষ্টে থাকে, তবে নূতন সৃষ্টি হইল; পুরাতন বিষয়গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ, সেগুলি নূতন হইয়া উঠিয়াছে। 

ঈশ্বরের সেই সামর্থক রয়েছে যা অসাধ্যকে সাধ্য করে তুলতে পারে। ঈশ্বর আপনাকে এমন একজন স্বামী দিয়ে দিবেন যে, আপনাকে খুশি খুশি গ্ৰহণ করে নিবে। আপনি যা কল্পনা করেনি তার অধিক তাই সর্বপ্রথম ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন, আর বাক্যেয় বাড়তে হবে, আর ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। আর ছবি বা ভিডিও কথা তো! আপনি যদি প্রার্থনায় বিশ্বাস করেন তো আপনি আপনার যা কিছু সমস্যা রয়েছে তা ঈশ্বরকে খুলে বলতে পারেন কারণ ঈশ্বর প্রার্থনার উওরকারী যেমন বাক্য বলে;

[মথি ৭:৭] যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে;অন্বেষণ কর পাইবে দ্বারে আঘাত কর,তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।

[যিরমিয় ২৯:১২ BENGALCL-BSI] তারপর তোমরা আমার কাছে আসবে। তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা করবে, আমি উত্তর দেব।

ঈশ্বর যথা সময়ে সব কিছু ঠিক করে দিবেন। ঈশ্বর সকলকে বোঝার মতো জ্ঞান প্রদান করুন। আমেন।

Post a Comment

0 Comments