খ্রিস্টানদের কি চকোলেট দিবস পালন করা উচিত?
লেখকঃ S.M
আজকের বিষয় একটু অন্য ধরনের। এই বিষয় বস্তু দেখে অনেকে ভাবতে পারেন এটা আবার কেমন ধরনের বিষয় বস্তু? প্রিয়তমেরা এত অধৈর্য্য হবেনা ধৈর্য্য ধরুন। ধৈর্য্য ধরে লেখা পড়ার জন্য চেষ্টা করুন। চলুন কথা না বাড়িয়ে আলোচনার দিকে অগ্ৰসর হই। এই বিষয় বস্তু আলোচনা করার পূর্বে পাঠক-পাঠিকাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, অনুগ্ৰহ করে আপনারা পূর্বের বিষয় বস্তুগুলি অনুসরণ করুন। “খ্রিস্টানদের রোজ দিবস পালন করা উচিত কি?” “খ্রিস্টানদের কি প্রপোজ ডে পালন করা উচিত?”
Image by ivabalk from Pixabay |
৯ই ফেব্রুয়ারি চকোলেট ডে কি?
৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের তৃতীয় দিনে অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি চকোলেট দিবস উদযাপিত হয়। সাধারণত এই দিন প্রেমিক ও প্রেমিকাদের চকোলেট খাওয়ানোর দিন। এই দিন প্রেমিরা একের অপরকে চকোলেট দিয়ে থাকে যেন, এই চকোলেট এর মতো তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক মিষ্টি হয়ে থাকে। এই মিষ্টি স্বাদ ও ওই প্রেমকে প্রদর্শন করেন। একেই সাধারণ ভাষায় চকোলেট ডে বা দিবস বলে।
আচ্ছা আপনারা একটু ভাবুন তো এই চকলেট এর মধ্যে দিয়ে কোন প্রেমের সম্পর্কে মিষ্টি/ ভালো হয় কি? বা সম্পর্কে মিষ্টি/ ভালো করতে পারবে কি? হয়তো অনেকের এখন ভাবার শক্তি নেই। যারা অন্ধ প্রেমি তারা তো বলেই ফেলবে যে, হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ দিতে পারে। আমি এখানে অন্ধ প্রেমিদের জন্য কিছু বলতে চাই না। তাঁদের এখন সব কিছু ভালোই লাগবে। আমার খ্রিষ্টীয়ত অন্ধ প্রেমিদের মানে যুবক যুবতীদের কিছু বলতে চাই, দয়া করে আপনারা লেখা অনুসরণ করুন। এই সব জগতের মায়া থেকে দূর হোন। আপনি কি জানেন এই চকোলেট থেকেই বহু গুন ভাল স্বাদ আপনার জন্য কিছু আছে বা দেওয়া হয়েছে! যেই স্বাদ স্বয়ং আপনাকে খেয়ে/ চেখে দেখতে হবে। আমার প্রিয় যুবক ও যুবতীগণ সেই স্বাদ আস্বাদন করেছেন কি? সেই স্বাদের সম্বন্ধে বাক্যে কি বলে! একটু দেখে নেওয়া যাক;[গীতসংহিতা ৩৪:৮] আস্বাদন করিয়া দেখ, সদাপ্রভু মঙ্গলময়; ধন্য সেই ব্যক্তি, যে তাঁহার শরণাপন্ন।
সেই স্বাদ যে আস্বাদন করেছেন তখন এই বাক্যের মতোন তার মনে এই ভাষা উওলে উঠবে, যেমনটি বাইবেলের বাক্যেও বলে যথা;
[গীতসংহিতা ১১৯:১০৩] তোমার বচন সকল আমার তালুতে কেমন মিষ্ট লাগে! তাহা আমার মুখে মধু হইতেও মধুর!
[গীতসংহিতা ১৯:১০] তাহা স্বর্ণ ও প্রচুর কাঞ্চন অপেক্ষা বাঞ্ছনীয়, মধু ও মৌচাকের রস হইতেও সুস্বাদু।
আমরা দেখেছি আমাদের খ্রিষ্টীয় যুবক-যুবতীগণদের, যখন কোন খ্রিষ্টীয় ভ্রাতা ও ভগিনী বা পাষ্টার উওম আত্মিক বচন দেওয়া চেষ্টা করে, তখন সেটা তাদের ভালো/মিষ্টি লাগে না। তখন অনেক তিতা লেগে যায়। কিন্তু যখন কোন আপজন অর্থাৎ প্রেমিক বা প্রেমিকা সেই জাগতিক চকোলেট প্রেমসহকারে দিতে চায়, তখন আর বলা যায় না। খুশি খুশি গ্ৰহণ করে ফেলে। কারণ হচ্ছে তখন যে সেই চকোলেট এর মধ্যে থেকে মিষ্টি ঝরে পড়ে যাচ্ছে। (দুঃখিত এখানে একটু কঠিন ভাষাশালী প্রয়োগ করার জন্য)। খ্রিস্টবিশ্বাসী যুবক-যুবতীদের জগতের মিষ্টি আর আত্মিক মিষ্টির পার্থক্য বোঝা উচিত, যারা আত্মিক স্বাদ আস্বাদন করেছেন তাদের আর জগতের চকোলেট স্বাদ মিষ্টি লাগবে না। যাদের আপজনের চকোলেট মিষ্টি লাগে তারা এখন ও ঈশ্বরকে ও তার বচনকে আস্বাদন করেননি। বাক্যে ঠিকই বলে যথা;
[ইব্রীয় ৬:৪-৫] কেননা যাহারা একবার দীপ্তি প্রাপ্ত হইয়াছে, ও স্বর্গীয় দানের রসাস্বাদন করিয়াছে, ও পবিত্র আত্মার ভাগী হইয়াছে, এবং ঈশ্বরের মঙ্গলবাক্যের ও ভাবী যুগের নানা পরাক্রমের রসাস্বাদন করিয়াছে।
দেখলেন আপনার মুখের জন্য চকলেট মিষ্টি নয়। বরং ঈশ্বরের বাক্যেই মিষ্টি। আপনার দ্বারাই অন্যে জন এই আত্মিক মিষ্টি স্বাদ আস্বাদন করবে/অনুভব করতে পারবে। যদি না আপনি এই জগতের চকোলেট এর পিছনে দৌড়দৌড়ি করেন! খ্রিষ্টীয়ত প্রিয় যুবক-যুবতীগণ, ঈশ্বর এই বাক্যের দ্বারা আপনাদের কিছু বলছেন, তা বলে এটা বলা হচ্ছে না যে এই বাক্য শুধু যুবক-যুবতীদের জন্য প্রযোজ্য হয় তা কিন্তু নয়। বাক্যে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য হয় অর্থাৎ মানুষ মাত্রই যথা;
[মথি ৫:১৪] তোমরা জগতের দীপ্তি; পর্ব্বতের উপরে স্থিত নগর গুপ্ত থাকিতে পারে না।
[১ থিষলনীকীয় ৫:৫] তোমরা ত সকলে দীপ্তির সন্তান ও দিবসের সন্তান; আমরা রাত্রিরও নই, অন্ধকারেরও নই।
খ্রিষ্টীয়ত প্রিয় ভ্রাতা ও ভগিনীগণ জগতের অভিলাষকে আপন করবেন না। হয়ত এই সব অভিলাষ ক্ষনেকের জন্য আপনাকে সুখ দিলেও দিতে পারে। কিন্তু পরিনাম মন্দ/ খারাপ। তাই বাইবেল সুস্পষ্ট ভাবে বলে;
[১ যোহন ২:১৫-১৭] তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই। কেননা জগতে যে কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এ সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে। আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।
0 Comments