বাইবেল গালিগালাজ সম্পর্কে কি বলে?
লেখকঃ S.Murmu
আজকের বিষয়বস্তু আমাদের খ্রিষ্টীয় ভ্রাতা ও ভগিনীগণদের উপরে প্রযোজ্য হয়। অন্য ধর্মের লোকদের উপরে তেমন একটি প্রযোজ্য হয় না। তা বলে এটা নয় যে, তারা গালিগালাজ করতে পারে তা কিন্তু নয়। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েও দেখলে গালিগালাজ সঠিক নয়। কারণ আমরা সভ্য সমাজে বাস করি। অন্য ধর্মের লোকদের কথা বলার কারণে হচ্ছে যে, তাদেরকে যতই বোঝাও না কেন তারা বুঝতেই চায় না। সুতরাং তাদেরকে বোঝানো আর না বোঝানো দুটোই সমান।Image by congerdesign from Pixabay |
আমি চাই আমাদের খ্রিষ্টীয় সমাজের ভ্রাতা ও ভগিনীগণকে তৈরি করতে। আমি অনেক খ্রিস্টানদের দেখেছি যারা কোথায় কোথায় এত রেগে যায় যে, তখন খারাপ খারাপ ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে বশে যা বলা বাহুল্য। যেটি আপনি ভালো করেই অবগত আছেন। অতএব আমাকে আর এখানে সেই ভাষাশালী প্রকাশ করতে হবেনা। হয়তো যারা গালিগালাজ দেয় তারা এই উওর দেখলে এটাও বলবে যে, আপনাদেরকে কিছু বলতে হবে না চুপ করুন। বেশি পণ্ডিত গিরি দেখিও না। আমি বুঝতে পারি না খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসী হয়েও কেন এত গালিগালাজ দেয়। গালিগালাজ সম্পর্কে বাক্য কি বলে চলুন দেখে নেওয়া যাক;
[ইফিষীয় ৪:২৯ IRVBEN] তোমাদের মুখ থেকে কোন রকম বাজে কথা বের না হোক, কিন্তু দরকারে গেঁথে তোলার জন্য ভালো কথা বের হোক, যেন যারা শোনে, তাদেরকে আশীর্বাদ দান করা হয়।
[কলসীয় ৩:৮ IRVBEN] কিন্তু এখন তোমরা অবশ্যই এই সব জিনিস ত্যাগ করবে ক্রোধ, রাগ, হিংসা, ঈশ্বরনিন্দা ও তোমাদের মুখ থেকে বেরনো বাজে কথা।
[১ পিতর ২:১] অতএব তোমরা সমস্ত দুষ্টতা ও সমস্ত ছল এবং কপটতা ও মাৎসর্য ও সমস্ত পরিবাদ ত্যাগ করিয়া।
[ইফিষীয় ৪:৩১ IRVBEN] সব রকম বাজে কথা, রোষ, রাগ, ঝগড়া, ঈশ্বরনিন্দা এবং সব রকম হিংসা তোমাদের মধ্যে থেকে দুর হোক।
[ইফিষীয় ৫:৪ IRVBEN] আর খারাপ ব্যবহার এবং প্রলাপ কিম্বা ঠাট্টা তামাশা, এই সকল অশ্লীলতা ব্যবহার যেন না হয়, বরং যেন ধন্যবাদ দেওয়া হয়।
[ইফিষীয় ৪:২৯ IRVBEN] তোমাদের মুখ থেকে কোন রকম বাজে কথা বের না হোক, কিন্তু দরকারে গেঁথে তোলার জন্য ভালো কথা বের হোক, যেন যারা শোনে, তাদেরকে আশীর্বাদ দান করা হয়।
[কলসীয় ৩:৮ IRVBEN] কিন্তু এখন তোমরা অবশ্যই এই সব জিনিস ত্যাগ করবে ক্রোধ, রাগ, হিংসা, ঈশ্বরনিন্দা ও তোমাদের মুখ থেকে বেরনো বাজে কথা।
[১ পিতর ২:১] অতএব তোমরা সমস্ত দুষ্টতা ও সমস্ত ছল এবং কপটতা ও মাৎসর্য ও সমস্ত পরিবাদ ত্যাগ করিয়া।
[ইফিষীয় ৪:৩১ IRVBEN] সব রকম বাজে কথা, রোষ, রাগ, ঝগড়া, ঈশ্বরনিন্দা এবং সব রকম হিংসা তোমাদের মধ্যে থেকে দুর হোক।
[ইফিষীয় ৫:৪ IRVBEN] আর খারাপ ব্যবহার এবং প্রলাপ কিম্বা ঠাট্টা তামাশা, এই সকল অশ্লীলতা ব্যবহার যেন না হয়, বরং যেন ধন্যবাদ দেওয়া হয়।
আপনারা দেখলেন বাইবেল স্পষ্টক্ষরে লিখিত রয়েছে, একজন খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসাসীর ভ্রাতা ও ভগিনীর মুখ থেকে যেন কোন প্রকারে খারাপ ভাষা না বেরোয়। একদিন যাকোব ইসরায়েলের দ্বাদশ বংশকে একটি চিঠি লিখছিলেন। চিঠিতে জিহবা দমন করা আবশ্যকতা নিয়ে একটি বিষয় লিখছিলেন। সেই বিষয়কে বোঝাতে গিয়ে জবরদস্ত একটি উপমা/উদাহরণ দিয়েছিলেন। সত্যি উপমাটি অপরিহার্য ছিল। কি সেই উপমা! চলুন সেই বাক্যে দেখে নেওয়া যাক;
[যাকোব ৩:১১ SBCL] একই জায়গা থেকে বের হয়ে আসা স্রোতের মধ্যে কি একই সময়ে মিষ্টি আর তেতো জল থাকে?
নিশ্চয়ই সম্ভব নয়। ঠিক তদ্রুপ আমরা একই মুখ দিয়ে গালিগালাজ বা ঈশ্বরের/প্রভু যীশুর আরাধনা/উপাসনা করতে পারি না। আমার প্রিয়তমেরা এটা অনুচিত। আমাদেরকে স্বয়ং এর মুখে বলগা দেওয়া উচিত। যেমন প্রভু যীশু প্রত্যেকে বিশ্বাসীদেরকে বলেছেন যথা; (মথি ৫:১৩, মার্ক ৯:৫০, লূক ১৪:৩৪)। এই সকল বাক্যের অনুরূপ যারা গালিগালাজ করে এই মতো লোকদের কোন স্বাদ ও পাওয়ায় না। এরা সেই স্বাদকে হারিয়ে ফেলেছে। প্রভু যীশু প্রত্যেক বিশ্বাসীকে এটাও বলেছিলেন যেমন বাক্য বলে;
[মথি ৫:৪৮] অতএব তোমাদের স্বর্গীয় পিতা যেমন সিদ্ধ, তোমরাও তেমনি সিদ্ধ হও।
এই মতো লোকদের স্বাদ, পবিত্রতা কিছু প্রকাশ পায় না। যেই স্বাদ দিয়ে অপর সেই স্বাদ আচ্ছাদন করার সুযোগ পাবে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার সেই স্বাদ আর নেই। একজন বিশ্বাসীর সেই পবিত্রতা নেই যেই পবিত্রতার মাধ্যমে অপর পরিবর্তন হবে।
উপসংহারঃ - গালিগালাজ অনুচিত। একজন খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসীর ভ্রাতা ও ভগিনীর মুখ থেকে যেন কখনও কদালাপ বের না হোক। যতই অপর গালিগালাজ করে, তবুও যেন একজন খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসীর উচিত নয়। যদি আমরা উল্টো গালিগালাজ করি, তবে অন্য ধর্মের লোক আর খ্রিষ্টীয় মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যদি একজন খ্রিস্টান গালিগালাজ দেয়, তবে প্রভু যীশুর খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেন। প্রভু যীশু কি বলেছিলেন তা জানতে এই বাক্যে দেখুন; (মথি ১২:৩৪)। অতএব অপর আমাদের দেখে পরিবর্তন হয়। যদি আমরাই খারাপ ভাষাশালী প্রয়োগ করি, তাহলে অপর ব্যক্তি কি ভাবে পরিবর্তন হবে তাই না! বাক্য আমাদের উৎসাহিত করে এবং এই পোস্ট এর উপসংহার বাক্য যথা;
[কলসীয় ৪:৬] তোমাদের বাক্য সর্ব্বদা অনুগ্রহ সহযুক্ত হউক, লবণে আস্বাদযুক্ত হউক, কাহাকে কেমন উত্তর দিতে হয়, তাহা যেন তোমরা জানিতে পার।
ঈশ্বর সকলকে বোঝার মতো জ্ঞান প্রদান করুক।
আমেনা।।
0 Comments