খ্রিস্টবিশ্বাসী যুবক যুবতীদের কি হাগ ডে পালন করা উচিত?| Hug Day (12 february) কি?
লেখকঃ S.Murmu
আজকের বিষয় বস্তু দেখে আপনার মনে ও প্রশ্ন জেগে উঠতে পারে, এটি আবার কেমন ধরনের বিষয় যে Hug Day পালন করা উচিৎ কি নয়! আপনি বলতে পারেন এটি তো সবায় করে থাকে। আর আপনি উল্টো জিজ্ঞাসা করছেন যে Hug Day পালন করা উচিত কি না বলে! আপনার মাথা-টাথা ঠিক আছে কি? দেখুন লোক কি বলে কিনা বলে সেটা বড়ো কথা নয়। বড়ো কথা হচ্ছে ঈশ্বর কি বলে! আর ঈশ্বর একজন মানুষের জীবন থেকে কি আশা করেন সেটা আমাদের জানা প্রয়োজন।
হাঁ প্রিয়রা আমার ও কোন একদিন আপনাদের মতো চিন্তা ধারণা ছিল। মানে এই বিষয় বস্তুর লেখক স্বয়ং আমি (S.Murmu)। কিন্তু যখন বাইবেলে বাড়তে থাকলাম তখন, এই রকম বহু বিষয়ের উওর জানতে ও বুঝতে ধীরে ধীরে শুরু করলাম। বাইবেলের অর্থ অর্থাৎ ঈশ্বরের কথাকে। হয়তো বাইবেলের অর্থ বুঝতে একটু সময় লাগে। প্রিয়রা আপনাদের বিচলিত হওয়া উচিত নয় যে আমি তো বাইবেলের অর্থ বুঝতেই পারি না।
এই বিষয় বস্তু অনুসরণ করার পূর্বে অনুগ্ৰহ করে পাঠক-পাঠিকরা আপনারা পূর্বে লেখা অনুসরণ করুন যেখানে; রোজ ডে, প্রপোজ ডে, চোকলেট ডে, টেডি ডে, প্রোমিজ ডে সম্পর্কে বাইবেল ভিত্তিক বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে, উওর জানার জন্য লিঙ্কে ক্লিক করুন; খ্রিস্টানদের রোজ ডে পালন করা উচিত? খ্রিস্টানদের কি প্রপোজ ডে পালন করা উচিত? খ্রিস্টানদের কি চকোলেট ডে পালন করা উচিত? খ্রিস্টানদের কি টেডি ডে পালন করা উচিত? খ্রিস্টানদের কি প্রমিস ডে পালন করা উচিত?
১২-ই হাগ ডে কি?
একজন প্রেমি তার প্রিয়তমাকে বুকে আলিঙ্গন করে
প্রেমের আলিঙ্গন। |
[হিতোপদেশ ৫:২০] বৎস, তুমি পরকীয়া স্ত্রীতে কেন মোহিত হইবে? বিজাতীয়ার বক্ষ কেন আলিঙ্গন করিবে?
এই বাক্যেকে দেখে অনেকে বলতে পারে, মানে যারা তর্ক করে থাকে, তারা বলে আরে ভাই তুমি কি দেখতে পাচ্ছো না বাক্য কি বলছে বলে! তুমি পরকীয়া স্ত্রীতে কেন মোহিত হবে? স্ত্রী কাদের বলা হয় তা কি আপনার জানা নেই! তারা বলে স্ত্রী তাদের বলা হয় যারা বিবাহিত, যাদের স্বামী রয়েছে তাদেরকে স্ত্রী বলা হয়। আমার প্রিয়তমেরা অবশ্যই সেই তর্কবাদীদের কথা সঠিক যে, এই বাক্যেয় স্ত্রীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আমার প্রিয়তমেরা এই বাক্য আদৌও কি বলতে চাইছে তা আপনাদের সুস্পষ্ট করতে চাই।
আমার প্রিয়তমেরা মনে রাখবেন ঈশ্বর ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, ওড়িয়া, তামিল, তেলেগু, কনড়, সানথালি / সাঁওতালি ইত্যাদি ইত্যাদি ভাষায় বাইবেল তাঁর দাসদের মাধ্যমে লেখাননি। ঈশ্বর তার পবিত্র শাস্ত্র বাইবেল তিনটি ভাষায় লিখেছেন তা হল গ্ৰীক, হিব্রু ও আরামিক। আমরা যেন আমাদের ভাষায় ঈশ্বরকে খুঁজে পাই, তাই বাইবেলকে অনুবাদ করা হয়। এখানে বাংলা বাইবেলে যে স্ত্রী শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। তার পরিভাষা বুঝতে গেলে হিব্রু বাইবেল দেখা প্রয়োজন।
হিব্রু বাইবেলে স্ত্রীর জন্য যেই শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে তা হল (זוּר-zuwr) যার কথার অর্থ হল অপরিচিত। হিন্দি দিয়ে বলতে গেলে (अजनबी-আজনবী)। অপরিচিত বলতে যাকে আমরা চিনি না, জানি না, এখানে স্বামী ও স্ত্রীর গভীর নিবিড় সম্পর্ককে প্রদশর্ন করছে যেমন একজন স্বামী ও স্ত্রী একের অপরকে বুঝে। হয়তো এখানে আবার কিছু লোক বলবে আমি তাকে বিয়ে করব, আমি তো তাকে নিয়ে সব কিছু জানি।
দেখুন যারা ঢং দেখায় তাদেরকে বোঝানো আর না বোঝানো দুটোই সমান। বাইবেলে হিসাবে বিয়ে করার পূর্বে কোন ভাবে একজন পুরুষ/ ছেলে কোন নারী/ মেয়েকে বুকে আলিঙ্গন করা উচিত নয়। যেহেতু সে তোমার স্ত্রী নয়। এই কথা শুনে মেয়েরা খুশি হবেন না যে এটি তো ছেলে/পুরুষদেরকে বলা হয়েছে আমাদেরকে তো নয়।
আমার আজাদ হয়ে গেছি তা কিন্তু নয়, বাক্য উভয়ের জন্য প্রযোজ্য হয়। কারণ ঈশ্বরের বানী সকলকে দেওয়া হয়েছে শুধু যে পুরুষ তা কিন্তু নয়। হতে পারে এখানে পুরুষদের কথা Mention করা হয়েছে কিন্তু বাক্য উভয়ের জন্য। এই বাক্য ভালো করে লক্ষ করলে দেখতে পাবে সেখানে বিজাতীয় শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। বিজাতীয় বলেতে স্বামী ও স্ত্রী ছাড়াকে বোঝানো হয়েছে।
বুকে আলিঙ্গন পরিনাম।
[হিতোপদেশ ৬:২৭-২৮] কেহ যদি বক্ষঃস্থলে অগ্নি রাখে, তবে তাহার বস্ত্র কি পুড়িয়া যাইবে না? কেহ যদি জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর দিয়া চলে, তবে তাহার পদতল কি পুড়িয়া যাইবে না?
এখন আপনি জুড়িয়ে ধরেছেন কালকে সেই জড়িয়ে ধরা অভিব্যক্ত কত দূর এগোবে তা কল্পনা করাও যায় না। তাই ঈশ্বর এমন ধরনের লোকদের দণ্ডবিহীন রাখবেন না যেমন সুস্পষ্ট ভাবে বাক্যে বলে যথা;
[হিতোপদেশ ৬:২৯] তদ্রূপ যে প্রতিবাসীর স্ত্রীর কাছে গমন করে; যে তাহাকে স্পর্শ করে, সে অদণ্ডিত থাকিবে না।
[হিতোপদেশ ১৬:৫] যে কেহ হৃদয়ে গর্ব্বিত, সে সদাপ্রভুর ঘৃণাস্পদ, হস্তে হস্ত দিলেও সে অদণ্ডিত থাকিবে না।
যেহেতু তাকে তুমি বিয়ে করনি তাই সেই প্রতিবাসী। এখানে কিছু পক্ষ বলতে পারে আমি তো তাকেই বিয়ে করব। তা বলে কি ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারব নাকি? প্রিয়রা বেশি শেয়ানী হবেন না আপনি কাকে ধোকা দিচ্ছেন? নিজেকে নাকি ঈশ্বর কে? আপনি তাকে বিয়ে করেননি কি জানি ভবিষ্যতে বিয়েও করবেন কিনা তা কি বলা যায়! এই রকম চারপাশে বহু উদাহরণ পেয়ে যাবেন নতুন করে এখানে বোঝার কোন কিছু নেই।
এখানে আবার কিছু পক্ষ বলতে পারে বিদেশে ও লোকেরা আলিঙ্গন করে। আপনি কি বলতে চাইছেন কি? আমার প্রিয়তমেরা দেখুন সাধারণ ভাষায় আপনাকে জিজ্ঞাসা করি যখন বাইবেলে কোন কিছু বারন করে কিন্তু লোকেরা তার বিপরীত করে, তা বলে আপনি ও কি তা করবেন? যদি করেন এটাতে বিশ্বাসের আর অবিশ্বাসের পার্থক্য কোথায় রইল কি? ছাড়ুন আমি এতো কিছু বলতে চাইছি না।
প্রথমত আমি আপনাদের বলি; আমি ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহকে নিয়ে আলোচনা করছি নাকি কোন পরম্পরায় সংস্কৃতি নিয়ে। এই আলিঙ্গনা ঈশ্বরের চক্ষে তখন পবিএ হয়, যখন কোন ঈশ্বরের দুই মনোনীত জড়া মানে স্বামী ও স্ত্রী ভালোবাসায় পরস ছোঁয়ায় একের অপরকে গভীর ভাবে আলিঙ্গন করেন। তাই বাইবেল নিজের যৌবনের স্ত্রীতে আনন্দ করার কথা বলে যথা;
[হিতোপদেশ ৫:১৮] তোমার উনুই ধন্য হউক, তুমি আপন যৌবনের ভার্য্যায় আমোদ কর।
[উপদেশক ৯:৯] সূর্য্যের নীচে ঈশ্বর তোমাকে অসার জীবনের যত দিন দিয়াছেন, তোমার সেই সমস্ত অসার দিন থাকিতে তুমি আপন প্রিয়া ভার্য্যার সহিত সুখে জীবন যাপন কর, কেননা জীবনের মধ্যে, এবং তুমি সূর্য্যের নীচে যে পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত হইতেছ, তাহার মধ্যে ইহাই তোমার অধিকার।
বাইবেল কোথাও লেখা নেই বা নিদের্শ ও করা হয়নি যে বিয়ে করার পূর্ব কোন যুবক-যুবতী ভালোবেসে একের অপরকে ভালোবেসে আলিঙ্গন কর বলে।
0 Comments