প্রচারকদের কি দান দশমাংশ ব্যবহার করা উচিত?
লেখকঃ S.Murmu
আজকে আমরা আলোচনা করব মণ্ডলীতে যে প্রভুর উদ্দেশ্যে, মণ্ডলীর সদস্য বিন্দের সাহায্য কিছু দান-দশমাংশ সংগ্ৰহ হয়ে থাকে তা প্রচারকদের ব্যবহার করা উচিত কিনা, তো চলুন কথা না বাড়িয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক।
আমরা দেখেছি এই বিষয় নিয়ে খ্রিস্টীয় বিশ্বাসীদের নানা মতভেদ রয়েছে। কিছু পক্ষ বলে হাঁ ব্যবহার করা উচিত তো আবার কিছু পক্ষ বলে নানা ব্যবহার করা উচিত নয়। এখন সমস্যা দাঁড়িয়ে যায় তবে ব্যবহার করা উচিত কিনা? কয়েক দিন পূর্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা একটি বাক্য পোস্ট করে ছিলাম।
Image by Jeff Jacobs from Pixabay |
বাক্যেকে বোঝানোর জন্য একটি ছবি উওলোন করা হয়েছিল, মানে সজা ভাষায় বলতে গেলে বাক্যকে বোঝানোর জন্য ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই পোস্টে আমরা প্রশ্ন তুলে ধরে বলে ছিলাম, এই পোস্ট/বাক্যেয় কিছু আত্মিক শিক্ষা রয়েছে, তা কি আপনারা বুঝতে পারছেন! দেখা হচ্ছিল তখন কিছু তথাকথিত খ্রিস্টান রয়েছে তারা আমেন-হাল্লিলূয়া, বলেই যাচ্ছেন। আমরা নিজেই বুঝতে পারছিলাম, না এটা কি হচ্ছে বলে!
আজকাল যেন আমেন, হাল্লিলূয়া, চলতি ভাষায় পরিনত হয়ে গেছে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া যুগ। আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া একটু খেয়াল করলে দেখবেন, কিছু তথাকথিত খ্রিস্টানদের প্রশ্নের উত্তর জানা থাক বা না থাক কিন্তু আমেন ও হাল্লিলূয়া ক্ষেত্রে অনেক পণ্ডিত আছেন। আমেন, হাল্লিলূয়া লিখে লিখে আপনার কমেন্ট সেকশন ভর্তি করে ফেলে দেবে।
এটি মূর্খতা ছাড়া আর কোন কিছু নয়। কারণ বাইবেলের প্রত্যকটি শব্দ/ ভাষাশালী খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়। বাইবেলে আমেন ও হাল্লিলূয়া এই দুটি শব্দকে অনেক মর্যাদা/ সন্মান দেওয়া হয়েছে। এই দুটি শব্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এই দুটি শব্দকে সঠিক অর্থে ব্যবহার করা প্রয়োজন। আমেন ও হাল্লিলূয়া কথার অর্থ কি? এই বিষয় নিয়ে উওর জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন। আমেন কথার অর্থ কি? হাল্লিলূয়া কথার অর্থ কি? চলুন বাক্যে দেখে নেওয়া যাক, ঈশ্বর দান-দশমাংশ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন কিনা বলে!
[১ করিন্থীয় ৯:১৩-১৪] তোমরা কি জান না যে, পবিত্র বিষয়ের কার্য্য যাহারা করে, তাহারা পবিত্র স্থানের বস্তু খায়, এবং যজ্ঞবেদির সেবা যাহারা করে, তাহারা যজ্ঞবেদির সহিত অংশী হয়? সেইরূপে প্রভু সুসমাচার প্রচারকদের জন্য এই বিধান করিয়াছেন যে, তাহাদের উপজীবিকা সুসমাচার হইতে হইবে।
এই বাক্য খুব সুস্পষ্ট ভাবে বলছে, যে প্রচারক আমাদের আত্মিক শিক্ষায় লালনপালন করেন, তাদের অর্থাৎ প্রচারকদের উপজীবিকা বাইবেলের শিক্ষা থেকে হবে। এই বাক্যকে বিস্তারিত ভাবে বুঝতে গেলে উপরে কিছু বাক্য আমাদের অনুসরণ করা প্রয়োজন উদাহরণস্বরূপ; (১ করিন্থীয় ৯: ৯-১০)। সাধূ পৌল এই কথা পুরাতন নিয়ম পুস্তক (দ্বিতীয় বিবরণ ২৫:৪) পদ থেকে তুলে ধরে ছিলেন। আগেকার দিনে ধান ঝাড়ার সময় যেই খড় শীষ বা পোয়াল বের হয়ে আসত, সেই খড় শীষ বা পোয়াল এক জায়গায় সংগ্রহ করে রাখা হয়, পরে যথা সময়ে সেই খড় শীষ বা পোয়াল বলদ এর সাহায্যে মাড়াই করা হতো।
মাড়াই করার সময় বলদ চলতে চলতে কিছু ধান খেয়ে ফেলতো। সেই ধান খাওয়ার জন্য বলদের অধিকার ছিল। বলদ মাড়াই করার সময় কিছু টা ধান খায় কিন্তু সবগুলো নয়। ঠিক তদ্রুপ প্রচারকদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রভুর উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা দান, দশমাংশ ব্যবহার করতে পারে কারণ ঈশ্বর দান, দশমাংশ উপরে তাদের অধিকার দিয়েছেন। এই কথা সাধু পৌল তীমথিয় পএে আরও খুব সুন্দর বলেছেন যথা; (১ তীমথিয় ৫:১৮)।
ঈশ্বর পুরাতন নিয়়ম থেকেই প্রভুুুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা দান দশমাংশ অধিকার দিয়েছেন যেমন বাক্য সুস্পষ্ট ভাবে বলে; (লেবীয় পুন্তক ৭:১৪, লেবীয় পুন্তক ৭:৩১-৩২, লেবীয় পুন্তক ২৭:৩০-৩২, দ্বিতীয় বিবরণ ২৬:১২)।
যে যাহা কাজ করে তার উপর তাহার অংশীদার রয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন যাহাই হোক বাইবেল অনুসারে নির্ণয় নিতে হবে। বর্তমান দিন ভণ্ড প্রচারক ধনদৌলত সংগ্ৰহ করার জন্য লেগেই পড়েছে। সেই ভাবে দান দশমাংশ উপরে “মনকে” জমিয়ে রাখা উচিত নয় নচেৎ বাইবেল আরও কিছু বলে যথা; (মালাখি ৩:৮)। আমরা বাক্যের হিসেবে সুস্পষ্ট হয়েছি অবশ্যই দান-দশমাংস ব্যবহার করা যায়। ঈশ্বর দান দশমাংশ প্রতি ও লক্ষ রাখেন। প্রচারকরা সেই দান দশমাংশ কোথায় কিভাবে ব্যবহার করছেন বলে।
0 Comments