যাত্রাপুস্তক পরিক্রমা
আজকে আমরা যাত্রাপুস্তক পরিক্রমা সম্পর্কে আলোচনা করব। যেমন যাত্রাপুস্তক এর লেখক কে? যাত্রাপুস্তক কখন লেখা হয়েছে? যাত্রাপুস্তক এর লেখার উদ্দেশ্য? যাত্রাপুস্তক প্রধান বাক্য? সম্পর্কে জানার চেষ্টার করব। তাহলে চলুন দেরি না করে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক।
যাএাপুস্তক কি শব্দ থেকে আগত
যাত্রাপুস্তক হিব্রু Shemot শব্দ থেকে আগত যার অর্থ হল, "প্রস্তান" এই পুস্তককে ব্যবস্তা পুস্তক (তৌরাত) ও বলা হয়।
যাত্রাপুস্তক লেখক কে?
এই পুস্তক এর লেখক স্বয়ং মোশি ছিলেন যেমন বাক্য বলে; (যাত্রাপুস্তক ১৭:১৪, যাত্রাপুস্তক ৩৪:২৭)।
যাত্রাপুস্তক কখন লেখা হয়?
এই পুস্তক খ্রিস্টপূর্ব ১৪৪০-১৪০০ মধ্য লিখিত হয়েছে।
যাত্রাপুস্তক লেখার কারণ কি?
এই পুস্তক ইস্রায়েলের ঈশ্বরের নিযুক্ত মোশির মাধ্যমে মিশর থেকে তাঁর প্রজা মুক্তিদান। এই পুস্তক মোশির দ্বারা ব্যবস্থার স্থাপন। মোশির মাধ্যমে ঈশ্বরের চুক্তিপ্রাপ্ত লোক হিসাবে ইস্রায়েলের সূচনা এবং আধ্যাত্মিক উপাসনা কেন্দ্র হিসাবে আবাস স্থাপন। এবং ঈশ্বরের সাথে ইস্রায়েলের মিলনস্থলের কথা বলা হয়েছে।
প্রধান বাক্য কি?
[যাত্রাপুস্তক ১:৮] পরে মিসরের উপরে এক নূতন রাজা উঠিলেন, তিনি যোষেফকে জানিতেন না।
[যাত্রাপুস্তক ৬:৬] অতএব ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে বল, আমি যিহোবা, আমি তোমাদিগকে মিস্রীয়দের ভারের নীচে হইতে বাহির করিয়া আনিব, ও তাহাদের দাসত্ব হইতে উদ্ধার করিব, এবং প্রসারিত বাহু ও মহৎ শাসন দ্বারা তোমাদিগকে মুক্ত করিব।
(যাত্রাপুস্তক ১২:১৩, যাত্রাপুস্তক ১৯:৫-৬)।
ভবিষ্যত বানী
এই পুস্তক ইস্রায়েলীয়দের প্রয়োজনীয় অসংখ্য বলিদানের চূড়ান্ত প্রতীক স্বয়ং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ছিলেন। ঈশ্বর যখন দশম আঘাত দিয়ে ফৌরণকে আঘাত করতে চেয়েছিলেন তখন সেই আঘাত থেকে ইস্রায়েলীয়দের রক্ষা করার করার জন্য নিস্তারপর্ব্ব স্থাপন করেন। নির্দোষ এক মেষশাবকে বলিদান করে তার রক্ত দরজার দুই চৌকাঠে ও উপরে লাগাতে বলেন। যেই ঘরে সেই রক্ত লাগানো ছিল। ঈশ্বর তা দেখে ইস্রায়েলদের মুক্ত করেন। মানুষ মাএই সকলেই পাপী আর পাপের বেতন মৃত্যু। কিন্তু বর্তমান যে কেউ প্রভু যীশুর বলিদান কে বিশ্বাস করে গ্ৰহণ করে সেই পাপের দণ্ড মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। কারন বাইবেল বলে সেই উওম, নির্দোষ মেষশাবক খ্রিষ্টই ছিলেন; (১ পিতর ১:১৯)।
সংক্ষেপ্তিরসার
এই পুস্তক আরম্ভ হয় তখন যখন ইস্রায়েলীয়রা মিশরে যোষেফর অতিথি স্বরূপ প্রবেশ করেছিল। যোষেফ তখন মিশরে অনেক ক্ষমতাবান/ শক্তিশালী ছিলেন। পরে মিশরে এক রাজা উৎপন্ন হয় যে যোষেফ কে জানতো না যেমন বাক্য বলে; (যাত্রাপুস্তক ১:৮)।
সেই রাজা উঠে ইস্রায়েলদের কঠিন দাসত্ব করাত। সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে। সেই রাজা ইস্রায়েলদের জিনা হারাম করে ফেলেছিল। ঈশ্বর আপন পবিত্র প্রজার দুঃখ, কষ্ট, লাঞ্চনা, দেখে ছিলেন। তিনি আপন পবিত্র প্রজা ইস্রায়েলের তত্বাবধান নিতে চাইলেন। তখন মোশিকে মনোনীত করলেন। কিন্তু রাজা ইস্রায়েলীয়দের ছাড়তে নারাজ। তখন ঈশ্বর নানা বিপত্তি ও ইস্রায়েলীয়দের প্রস্থান করা ঘোটনা উল্লেখ পাওয়া যায়।
ঈশ্বর সাবভৌম ও শক্তিশালী হাত দ্বারা মহামারী অলৌকিক ঘটনা দেখা যায়। সেই দশম আঘাতে মাধ্যমে মিশরে সকল প্রথমজাত সন্তানের মৃত্যু এবং ইস্রায়েলীয়দের উদ্ধার আর নিস্তারপর্ব স্থাপন করেন। লৌহিত সাগরকে দুই ভাগ করে প্রজাদের রক্ষা করা মিস্রীয়দের ধবংস করা। ঈশ্বরের নানা অলৌকিকতা কাজ। যেমন তিতা জলকে মিষ্টি জলে পরিনত করা।স্বর্গ থেকে খাদ্য প্রদান করা। শিলা থেকে জল প্রদান করা।
শক্রুদের উপর বিজয় লাভ করা। ঈশ্বর নিজের হাতে পাথরের ফলকে উপরে ব্যবস্থার লিখে মোশিকে প্রদান করা। অগ্নিসহকারে মোশিকে দেখা দেওয়া। ঈশ্বর দ্বারা সাক্ষ্য সিন্দুক নির্মান করা। সমাগম তাম্বুর বিভিন্ন প্রাএাদি নির্মান করা। বিভিন্ন বলিদান, উৎসব, উপাসনা এই পুস্তক বর্ণিত রয়েছে।
0 Comments