বিয়ের আগে যৌনতা সম্পর্কে বাইবেল কী বলে?
লেখকঃ- S.Murmu
আজকের বিষয় বস্তু যুব সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বস্তু। আমি জানি এই বিষয়কে নিয়ে অনেকের তিতা লাগবেই। কিছু বিশ্বাসীরা তো বলেই ফেলবে যে, আপনি কে হন অন্যের বিচার করার? আমি এই মত বিশ্বাসীদের কি বলব! যারা শিক্ষা দেওয়া আর বিচার করার পার্থক্য খুঁজে পায় না। অনেকেই বলবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের মুখ কি বন্ধ করা যায়! নিশ্চয় না। হাঁ তাদের একটার মাধ্যমে মুখের ভাষা কিছুটা আত্ততা আনা যেতে পারে, অনেকে বলতে পারে কিভাবে? তা হল সত্যের মাধ্যমে, সত্যকে দেখিয়ে। যদি, সেই ব্যক্তি সত্যের মাধ্যমে বিষয়কে বোঝার চেষ্টা করেন।
হাঁ এই বিষয় বস্তু আমাদের খ্রিষ্টীয় তরূণ-তরুণী ভ্রাতা ও ভগিনীদের উদ্দেশ্যে সত্যি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেখেছি সাধারণত এই বিষয়ের বেশি প্রভাব আমাদের খ্রিষ্টীয় তরূণ-তরুণীদের উপরে পড়ে। বতর্মান দিনে সমাজ এই বিষয় হালকা করেই দিয়েছে, যেন বিয়ে আগে শারীরিক সম্পর্কে কিছু মনে করা হয় না। শারীরিক সম্পর্কে পরিভাষা কি? যদি একটু সংক্ষেপে বলি তা হচ্ছে; শরীরের আশা আকাঙ্ক্ষা, কিছু চাওয়া-পাওয়া মানে বিপরীত লিঙ্গের চাহিদা মেটানো কেই শারীরিক সম্পর্ক বলে। তা ভালোলাগা থেকে শুরু হয়ে ভালোবাসায় পরিণত হয়, অর্থাৎ হাত ধরা থেকে শুরু হয়ে কোথায় চলে যায় তা আপনারা ভালো করেই জানেন। এখন আমরা এই বিষয়কে নিয়ে বাইবেল দেখব। বাক্য শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে কি বলে? চলুন তা দেখে নেওয়া যাক;
[১ তীমথিয় ৪:১২] তোমার যৌবন কাহাকেও তুচ্ছ করিতে দিও না; কিন্তু বাক্যে, আচার ব্যবহারে, প্রেমে, বিশ্বাসে, ও শুদ্ধতায় বিশ্বাসিগণের আদর্শ হও।
এখানে বাক্যে বলছে একজন তরূণ-তরুণী শরীর যেন পবিত্র হয়। এই পবিত্র শরীর যেন বিয়ে করার আগে কাউকে তুচ্ছ করতে না দেই। আমরা যেন নিজের শরীর স্বামী ও স্ত্রীর জন্য ঈশ্বরের দেওয়া শরীরকে পবিত্র করে রাখি। ঈশ্বরের দেওয়া শরীর কোন গার্লফ্রেন্ড - বয়ফ্রেন্ড তৈরী করে বা বানিয়ে যেন শরীকে অপবিত্র না করি। এখানে আমি অনেক খ্রীষ্ট বিশ্বাসী তরূণ-তরুণীদের শুনেছি বা বলে থাকে, আমি তো তাকে বিয়ে করব, তাহলে কেন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারব না? আমিই তো তাকে বিয়ে করব তাই না! এই সব ব্যক্তিকে আমি কি বলব যদি বুঝে ও না বুঝতে চায়, আর নিজের বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে, আর ঈশ্বর হতে চায়। আমি সুস্পষ্ট ভাবে বলে দেই এই সব যুক্তি শয়তানের, বিশ্বাসী হয়েও তারা বুঝতে চায় না কারণ সেই সব ব্যক্তি এখন ও পাপের মধ্যেই পড়ে রয়েছে। ঈশ্বর যখন তাঁর ভাববাদী, প্রেরিত ও শিষ্যদের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করছেন, তাহলে এখানে আবার এটা কি কথা চলে আসে যে, আমি তাকে বিয়ে করব তাহলে তার সঙ্গে কেন শারীরিক সম্পর্ক করতে পারব না? এই ধরনের ব্যক্তিদের জন একটি সন্দুর বাক্যে যথা;
[১ যোহন ২:৪] যে ব্যক্তি বলে, আমি তাঁহাকে জানি, তথাপি তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন না করে, সে মিথ্যাবাদী এবং তাঁহার অন্তরে সত্য নাই।
ঈশ্বর যখন তাঁর বাক্যেয় কিছু নিষিদ্ধ করেছেন তা পালন করাই উচিত। আমাদেরকে যেই ভাবেও ঈশ্বরের আজ্ঞাকে পালন করা উচিত আর সেটাই সত্য। নচেৎ যেই কি সেই ব্যভিচারের মধ্যেই পড়ে ঈশ্বর শারীরিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে নয়, বরং ঈশ্বর শারীরিক সম্পর্ক মানে সেক্স'কে আশীর্বাদ করেছেন। ঈশ্বর চায় সবায় যেন সেই শারীরিক সম্পর্কে (Sex) আনন্দ নেয়, এবং তাঁর রাজ্যের জন্য সন্তান-সন্তি জন্ম দেয় বলে! তাই ঈশ্বর প্রথম মানুষ আদম ও হবাকে মানে স্বামী ও স্ত্রীকে আশীর্বাদ করেছিলেন যথা;
[আদিপুস্তক ১:২৮] পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করলেন;ঈশ্বর কহিলেন,তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও,এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর।
ঈশ্বর শারীরিক সম্পর্ককে একটা গণ্ডির মধ্যে রেখেছেন মানে বিয়ে মধ্যেই। বিয়ে করার আগে বা বিয়ে করার পরে কোন ভাবে শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়। তাই ঈশ্বর বিবাহকে অনেক মহত্ত্ব দিয়েছেন যেমন বাক্য বলে যথা;
[ইব্রীয় ১৩:৪] সকলের মধ্যে বিবাহ আদরণীয় ও সেই শয্যা বিমল [হউক]; কেননা ব্যভিচারীদের ও বেশ্যাগামীদের বিচার ঈশ্বর করিবেন।
বিবাহকে ঈশ্বর অনেক মহত্ত্ব দিয়েছেন বিবাহ কোন ছেলে খেলা নয়। বিবাহ অনেক বড়ো দায়িত্ব। সেই বিবাহ মাধ্যমে দুই জন মানুষ লিপ্ত হয় মানে স্বামী ও স্ত্রী একাঙ্গ হয়। যার মাধ্যমে ঈশ্বরের রাজ্যের জন্য একটা পরিবার তৈরী হয়। যেটি ঈশ্বরের আশীর্বাদের ফল দুই জন মানুষ ধীরে ধীরে তৈরী করেন। ঈশ্বর চায় সেই শয্যা মানে বিছানা যা সাধারণ ভাষায় বাসর ঘর ও বলা যায়। প্রথম যখন দুই জন ঈশ্বরের মনোনীত সঙ্গী, সেই বিছানায় মিলিত হয় তা যেন নিষ্কলঙ্ক, পবিত্র, নির্মল, অকলঙ্কিত থাকে।
এখানে আবার কথা বোঝার আছে আপনারা আবার যেন সংসারের দৃষ্টি কোন দিয়ে বিচার না করেন যে, শুধু সেই বিছানাকেই বোঝান হয়েছে বলে তা কিন্তু নয়। তা উপরের লেখাতে বলা হয়েছে কি বোঝান হচ্ছে বলে! সেই দুই জন সঙ্গীকে বোঝান হয়েছে যা মিলন দিনের শয্যার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সংসারের দৃষ্টি কোন দিয়ে দেখলে সেই শয্যা তো পবিত্রতই হয়। দেখুন আপনি যদি নিজের আশা আকাঙ্ক্ষাকে মানে কামুক্তা ইচ্ছা শক্তি কন্ট্রোল করতে পারছেন না। তাহলে আপনার বিয়ে করাই ভালো। তবুও যেন বিয়ে করার আগে কোন ভাবে শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়। সত্যি এই কথাও সাধূ পৌল তাঁর পএে খুব সুন্দর বিস্তারিত ভাবে এই বিষয়কে নিয়ে বুঝিয়ে ছিলেন যথা;
[১ করিন্থীয় ৭:৯] কিন্তু তাহারা যদি ইন্দ্রিয় দমন করিতে না পারে,তবে বিবাহ করুক;কেননা আগুনে জ্বলা অপেক্ষা বরং বিবাহ করা ভাল।
[১ করিন্থীয় ৭:৯] কিন্তু তাহারা যদি ইন্দ্রিয় দমন করিতে না পারে,তবে বিবাহ করুক;কেননা আগুনে জ্বলা অপেক্ষা বরং বিবাহ করা ভাল।
বিয়ে করার পূর্বে বিশ্বাসী ভ্রাতা ও ভগিনীগণ শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত না হোন। যেন লিপ্ত হয়ে ব্যভিচার না করেন তার জন্য সাধূ পৌল বিশ্বাসীদের উপদেশ দিচ্ছেন যথা;
[১ করিন্থীয় ৭:২] কিন্তু ব্যভিচার নিবারণের জন্য প্রত্যেক পুরুষের নিজের নিজের ভার্য্যা থাকুক, এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিজের নিজের স্বামী থাকুক।
সাধূ পৌল বলছেন আমরা যেন ব্যভিচার না করি। তার জন্য আমাদের বিয়ে করা প্রয়োজন, বিয়ে মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে পবিএ বলা হয়েছে। কিন্তু বিয়ে না করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া মানেই ব্যভিচার বা পাপ তাই বাইবেল বারংবার এই ব্যভিচার থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়েছে যথা;
[২ তীমথিয় ২:২২] কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ হইতে পলায়ন কর; এবং যাহারা শুচি হৃদয়ে প্রভুতে ডাকে, তাহাদের সহিত ধার্ম্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুধাবন কর।
[উপদেশক ১১:১০] অতএব তোমার হৃদয় হইতে বিরক্তি দূর কর, শরীর হইতে দুঃখ অপসারণ কর, কেননা তরুণ বয়স ও জীবনের অরুণোদয়কাল অসার।
[১ করিন্থীয় ৬:১৩] দেহ ব্যভিচারের নিমিত্ত নয়, কিন্তু প্রভুর নিমিত্ত, এবং প্রভু দেহের নিমিত্ত।
[১ করিন্থীয় ৬:১৮] তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর। মনুষ্য অন্য যে কোন পাপ করে,তাহা তাহার দেহের বহির্ভূত;কিন্তু ব্যভিচারী করে,সে নিজ দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে।
[উপদেশক ১১:৯] হে যুবক, তুমি তোমরা তরুণ বয়সে আনন্দ কর,যৌবনকালে তোমার হৃদয় তোমাকে আহলাদিত করুক,তুমি তোমার মনোগত পথসমূহে চল;কিন্তু জানিও,ঈশ্বর এই সকল ধরিয়া তোমাকে বিচারে আনিবেন।
অতএব বাক্য বলছে যে, তুমি তোমার যৌবন বয়স আনন্দ ও কর কিন্তু মনে রাখবেন। ঈশ্বর এই সকল ধরে ও একদিন বিচারে আনবেন। যদি আমরা ঈশ্বর কাছে আমরা আমাদের মন্দ কার্য বিষয়ের ক্ষমা না চাই! আর লুকিয়ে রাখি। আমরা জানি অনেকে প্রভু যীশুকে গ্ৰহণ করার পরও এখন মন্দ কার্য্য লিপ্ত আছে। সেই সব মন্দ কার্য থেকে দূরই হতে চাইছে না, দয়া করে আপনার এই লেখাটি পড়ার পর আপনার সেই সব মন্দ কার্য্য থেকে দূর হউন। তা আপনি সেই মন্দ সম্পর্ক বিশ্বাসীরই সঙ্গে বা কেন সেই সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন কি? আপনারা জানেন মাঝে মাঝে অনুভব ও করেছেন গোপনে যা করছেন তা ভূলই করছেন। আপনাদের মন নিরুওর করিয়েছিল। বিশ্বাসী হয়ে পবিত্র আত্মা আপনাদের বলছেন এটা করা উচিত নয়, তবুও আপনারা করছেন। কিন্তু আপনার সেই ধ্বনি শুনে ও না শুনার ভ্যান করেছেন। যদিও কেউ, অবিশ্বাসীর সঙ্গে সেই মন্দ সম্পর্কে এখনও লিপ্ত আছেন, তারাও যেন সেই মন্দ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। এমনিতে বাক্য হিসাবে কোন ভাবেই অবিশ্বাসীকে বিয়েও করা উচিত নয় যেমন বাক্যে দৃঢ়ভাবে বলে যথা;
[২ করিন্থীয় ৬:১৪] তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে যোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্ম্মে ও অধর্ম্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?
[২ করিন্থীয় ৬:১৪] তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে যোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্ম্মে ও অধর্ম্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?
দেখুন আপনাকে সেই সম্পর্কে ভেঙ্গে আসতেই হবে। ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে। তা বলে এটা নয় যে আপনি তার সঙ্গে বেইমানি করছেন। যার সঙ্গে আপনার মন্দ সম্পর্ক ছিল তা কিন্তু নয়। মানে সাধারণ ভাষায় ধোকা দিচ্ছেন বলে তাও নয়। বরং আপনি ভালোই করেছেন বাইবেলের হিসাবে সেই ব্যভিচারের থেকে দূরে সরিয়ে। আপনি সেই ব্যক্তিকে সব বিষয় খুলে বলতে পারেন, তাকে বোঝান তবুও আপনি আর সেই মন্দ কাজে লিপ্ত হবেন না। আপনি যদিও তাকে মণ্ডলীতে আসার অনুরোধ রাখেন, যদি আপনার কথার হিসাবে সেই ব্যক্তিটি চলে আসে। এমনিতে দেখা গেছে প্রেমে পাগল ব্যক্তিরা প্রিয়তম/ প্রিয়তমার কথা হিসেবে চলেই আসে।
যদি চলে আসে, তবুও আপনি কোন ভাবে পুরাতন সম্পর্কে তরতাজা করার চেষ্টা করবেন না। এমন ও হতে পারে ঈশ্বর, সেই ব্যক্তির সঙ্গে আপনার বিয়েই দিতে চান না। দয়া করে আমার প্রত্যেক খ্রীষ্টীয় ভ্রাতা/ভগিনীরা কাউকে অপবিত্র করবেন না। আমি দেখেছি বা অনেকে বলে থাকে বিশেষ করে খ্রীষ্টীয় ভগিনীদের (মেয়ে/নারী) উদ্দেশ্য। জানি এই বিষয় তাদের কাছে অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় কারণ তারা নিজের নিজের বয়ফ্রেন্ড সঙ্গে এমন অবস্থায় কিছু সেলফি তুলে রাখে বা এমন কিছু ভিডিও শুট করে রাখে যা বলা যায় না। তাদের ভয় হয় কোথায় ছেলেটি আমার বদনাম না করে দেয়! তা পরিবার হোক বা বর্তমান দিনে তো সোশ্যাল মিডিয়া যুগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোথাও আবার সেই সব ভিডিও পোস্ট না করে দেয়। আরও ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা ধারনা চলে আসে। আমার, সেই সকল প্রিয় ভগিনী/ বোনদের উদ্দেশ্য বলি, যারা এমন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্য বলি, যদি প্রার্থনায় বিশ্বাস করেন বা রাখেন তাহলে কোনো চিন্তার করা কোন দরকার নেই বা ভয়ের কোন প্রয়োজন নেই। স্বয়ং ঈশ্বর আপনাদের সাথে আছেন। কারণ বাইবেল সুস্পষ্ট ভাবে বলে ঈশ্বর, প্রার্থনার উত্তর দেন যথা;
[মথি ৭:৭] যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে;অন্বেষণ কর পাইবে দ্বারে আঘাত কর,তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
[যিরিমিয় ২৯:১২] আর তোমরা আমাকে আহ্বান করিবে, এবং গিয়া আমার কাছে প্রার্থনা করবে,আর আমি তোমাদের কথায় কর্ণপাত করিব।
[গীতসংহিতা ১০২:১৭] তিনি দিনহীনদের প্রার্থনার দিকে ফিরিয়াছেন তাদের প্রার্থনার তুচ্ছ করেন নাই।
[ইয়োব ৪২:১০] পরে ইয়োব আপন বন্ধুগণের নিরমিও প্রার্থনা করিলে সদাপ্রভু তাঁহার দুর্দশার পরিবর্তন করলেন; বস্তুত সদাপ্রভূ ইয়োবকে পূর্ব্ব সম্পদের দ্বিগুণ সম্পদ দিলেন।
[ফিলিপীয় ৪:৬] কোন বিষয়ে ভাবিত হইওনা, কিন্তু সর্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর।
[মার্ক ১১:২৪] এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলি, যাহা কিছু তোমরা যাচ্ঞা কর,বিশ্বাস কর যে,তাহা পাইয়াছ,তাহাতে তোমাদের জন্য তাহাই হইবে।
এই রকম বহু বাক্য রয়েছে যা থেকে বলা যায় যে ঈশ্বর প্রার্থনা শুনেন। ঈশ্বর, যখন প্রার্থনা শুনেন, তাহলে সেই সব বিষয়ে নিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারেন। প্রার্থনায় সেই সামর্থ্য আছে যে, অসাধ্যকে সাধ্য করে তুলে। হ্যাঁ, এর জন্য স্বয়ং আপনাকে নিজের পাপের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে। দেখুন ঈশ্বর আপনাকে সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বর আপনার চাওয়া পাওয়া সব জানেন। ঈশ্বর আপনাকে ভালো কিছু দিতে চান। ঈশ্বর, আপনার জন্য পরিকল্পনা করেছেন দয়া করে ঈশ্বর ধ্বনি শুনুন। জেনে না জেনে পাপ তো করেছেন সেই পাপকে স্বীকার করুন। পাপ সবাই করে সেই রকম এই বিষয় বস্তুর লেখক আমি অর্থাৎ S.Murmu আমিও কম কম বেশি ভূল করেছি মানে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
কম বেশি কথা না বলাই ভাল। কারন সামান্য কিছু বাক্যের কথাকে অতিক্রম করাকেই পাপ বলে। আমি আমার অনুভবের মাধ্যমে বলতে পারি সেই মন্দ কাজ আপনাকে বিনাশের পথে দিকে নিয়ে যাবে, কখন যে নিয়ে যাবে আপনি ও বুঝতে পারবেন না। আপনারা দেখেছেন বা শুনেছেন অনেকে ভালোবাসার জন্য জীবন ও দিয়ে ফেলে। জীবন দিয়ে কি বা নূতন কিছু গড়ল কি? নিশ্চয় না। ঈশ্বর, যখন একদিন বিচারের সময় জিজ্ঞাসা করবে তো কি আর উওর দিবে! লোক এতোই কাউকে ভালোবেসে ফেলে যে, সেই ভালোবাসার ব্যক্তি ছাড়া যেন কিছুই দেখতে পায় না। যেন অন্ধ হয়ে যায়। সত্যি এই যৌবন বয়সে অতিক্রম করা খুব কঠিন হয়ে উঠে। কিন্তু তবুও প্রাণ দেওয়া উচিত নয় যেমন বাক্যে বলে যথা;
[মথি ১৬:২৬] বস্তুত মনুষ্য যদি সমুদয় জগত লাভ করিয়া আপন প্রাণ হারায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে কিম্বা মনুষ্য আপন প্রাণ এর পরিবর্তে কি দিবে ?
আপনারা, আপনাদের খ্রীষ্টীয় যুবক-যুবতী ভাই/বোন ছেলে/মেয়েদেরকে বাক্যেয় বেড়ে তুলন অর্থাৎ বাক্যেয় ভরিয়ে দিন বা শিক্ষা প্রদান করুন। বাক্যেয় এমন সামর্থক আছে যে সেই সব মন্দ কার্য থেকে দূর হওয়ার সামর্থক রাখে যেমন বাক্য বলে;
[গীতসংহিতা ১১৯:৯-১২] যুবক কেমন করিয়া নিজ পথ বিশুদ্ধ করিবে ? তোমার বাক্যনুসারে সাবধান হইয়াই করিব।আমি সর্বান্তকরণে তোমার অন্বেষণ করিয়াছি,আমাকে তোমার আজ্ঞা পদ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে দিও না।তোমার বচন আমি হৃদয়ের মধ্যে সঞ্চয় করিয়াছি,যেন তোমার বিরুদ্ধে পাপ না করি। ধন্য তুমি,হে সদাপ্রভু,আমাকে তোমার বিধিকলাপ শিক্ষা দেও।
তাই বাক্যেয় বেড়ে উঠা অত্যন্ত আবশ্যকতা। আপনি আপনার যৌবনে বিজয় হতে শিখতে পারবেন। দয়া করে আপনি আপনার মন্দ কাজের জন্য ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চান, তিনি আপনাকে ক্ষমাও করবেন। সেই ব্যভিচারিন স্ত্রীর মতোন কারণ ঈশ্বর, দয়াও প্রেমের ঈশ্বর। আমরা মন থেকে অনুতপ্ত হলে তিনি আমাদের ক্ষমা করে থাকেন যেমন বাক্য বলে;
তাই বাক্যেয় বেড়ে উঠা অত্যন্ত আবশ্যকতা। আপনি আপনার যৌবনে বিজয় হতে শিখতে পারবেন। দয়া করে আপনি আপনার মন্দ কাজের জন্য ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চান, তিনি আপনাকে ক্ষমাও করবেন। সেই ব্যভিচারিন স্ত্রীর মতোন কারণ ঈশ্বর, দয়াও প্রেমের ঈশ্বর। আমরা মন থেকে অনুতপ্ত হলে তিনি আমাদের ক্ষমা করে থাকেন যেমন বাক্য বলে;
[গীতসংহিতা ৮৬:৫] কারণ,হে প্রভূ,তুমি মঙ্গলময় ও ক্ষমাবান,এবং যাহারা তোমাকে ডাকে, তুমি সেই সকলের পক্ষে দয়াতে মহান।
[গীতসংহিতা ১০৩:৮] সদাপ্রভু স্নেহশীল ও কৃপাময় ক্রোধের ও দয়াতে মহান।
উপসংহারঃ- আমরা যেন আমাদের মাংসের অভিলাষের চেষ্টা না করি। এই আলোচনা শুধুমাত্র যুবক-যুবতীদের জন্য প্রযোজ্য হয় তা কিন্তু নয়। এই আলোচনা উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য হয়। যেহেতু বর্তমান দিনে এটির প্রভাব তরূণ-তরুণী বেশি পড়ে তাই আলোচ্যটি তরূণ-তরুণীদের কেন্দ্রীত্ব করা হয়েছে। সুতরাং বিয়ে করা পূর্বে কোন ভাবেই যৌনতা সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়। উপসংহার বাক্যে;
উপসংহারঃ- আমরা যেন আমাদের মাংসের অভিলাষের চেষ্টা না করি। এই আলোচনা শুধুমাত্র যুবক-যুবতীদের জন্য প্রযোজ্য হয় তা কিন্তু নয়। এই আলোচনা উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য হয়। যেহেতু বর্তমান দিনে এটির প্রভাব তরূণ-তরুণী বেশি পড়ে তাই আলোচ্যটি তরূণ-তরুণীদের কেন্দ্রীত্ব করা হয়েছে। সুতরাং বিয়ে করা পূর্বে কোন ভাবেই যৌনতা সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়। উপসংহার বাক্যে;
[রোমীয় ১৩:১৪] কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
ঈশ্বর সকলকে আশীর্বাদ করুন।।
0 Comments