মহিলাদের কি মন্ডলীতে প্রচার করা উচিত?// Should women preach in the churches?

মহিলাদের কি মন্ডলীতে প্রচার করা উচিত?

লেখকঃ S.Murmu

দ্বিতীয় পর্ব।

এই উওরকে বিস্তারিত ভাবে জানার জন‍্য প্রথমে আপনারা প্রথম পর্ব অনুসরণ করুন, যার ফলে দ্বিতীয় পর্ব বুঝতে সহজ হবে। প্রথম পর্ব অনুসরণ করার জন্য অনুগ্ৰহ করে এখানে ক্লিক করুন মহিলাদের কি মন্ডলীতে প্রচার করা উচিত?”  প্রথম পর্বেয় আমরা জেনেছিলাম ঈশ্বরের চোখে পুরুষ ও স্ত্রী দুই জনই সমান। কিন্তু ঈশ্বর তাঁর ব্যবস্থাতে পরিবারের গঠন করার জন‍্য নারীকে পুরুষের অধিনে রেখেছেন। তা বলে এটা নয় যে পুরুষ তার অধিকার/ ফায়দা নেয় বলে! পুরুষরা এই অধিকারের/ ফায়দা নেওয়ার ফলে একটা বড়ো সমস্যা সৃষ্টি হয়। মহিলা/নারী/স্ত্রী/মেয়েদেরকে উপরে নিজেদের অধিকার চাপিয়ে দেওয়ার ফলে, নারীদের একটা স্বতন্ত্রভাব জেগে উঠে। তারা আর পুরুষের অধিনে থাকতে চাইল না, ফলে সমান অধিকার নিয়ে একটা  বিদ্রোহ হয়। 

আগে বিদেশে তারপর আমাদের দেশেও যা আমরা নারী আন্দোলন বা নারী বিদ্রোহ বলে থাকি। ইতিহাস খুললে ও এই সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। এই সমান অধিকার নিয়ে পুরুষ ও মহিলা উভয়ই দাই। এই আধুনিক যুগের সমান অধিকার প্রভাব তা মণ্ডলীতে দেখা যায়। মণ্ডলীর সদস‍্যকে খুশি করার জন‍্য বা তাদের মন্ডলী আরো উন্নত হয় বলে, মহিলা/ নারী/ স্ত্রী/ মেয়েদেরকে এমন একটা জায়গা দেওয়া হয় যা বাইবেল অনুমতি দেয় না। পালকরা সর্বদা মণ্ডলীর সদস্যদেরকে খুশি করার জন্য লেগেই পড়ে গেছে। বাইবেলের বাক্যকে তীরস্কার করে, লোকদের খুশিকে মহত্ত্ব দেয়। তা বলে এটা নয় যে মেয়েরা মণ্ডলীতে কোনো অংশ গ্ৰহণ করতে পারবে না বলে! অবশ্যই গ্ৰহণ করতে পারে, কিন্তু সেই অধিকার পদের জন‍্য নয়।

ঈশ্বরের সেই বশীভূত ব্যবস্থা ছিল প্রেমের ব্যবস্থা নাকি কোন জোরজবরদস্তি! পুরুষদের নিয়ে যেই বাক‍্য আছে তা তাদেরকেও পালন করতে হবে। আমরা ভুলে যাই ঈশ্বরের মণ্ডলীতে মহিলা/নারী/ স্ত্রী/ মেয়েদের একটা স্থান দিয়েছেন। সেই স্থান থেকেই মহিলা/নারী/ স্ত্রী/ মেয়েদের ঈশ্বরের মহিমা করা উচিৎ। ঈশ্বর নিশ্চয় তাদের আশীর্বাদ করবেন। এই রকম মহিলা/ নারী/ স্ত্রী/ মেয়েরা নিশ্চয় বুঝতে পারবে, হতে পারে ঈশ্বর তাকে বাইবেলের বিষয় খুব গভীর জ্ঞান দিয়েছে। তবুও মণ্ডলীতে পুরষদের সামনে বাক‍্য হিসাবে বশীভূত হয়ে থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন। তার কখনও ইচ্ছা জাগেবে না যে, মণ্ডলীতে ঈশ্বরের বাক‍্য প্রচার করা বা শিক্ষা দেয় বলে! অর্থাৎ মণ্ডলীতে পুরুষদেরকে উপদেশ দিবেন বলে। প্রথমতঃ ঈশ্বর পুরুষকে সৃষ্টি করার পর নারীকে সৃষ্টি করেছেন। পুরুষকে নারী থেকে সৃষ্টি করা হয়নি বরন পুরুষ থেকে নারী সৃষ্টি হয়েছে যেমন বাক্য ও বলে;

[১ তীমথিয় ২:১৩] কারণ প্রথমে আদমকে,পরে হবাকে নির্ম্মান করা হইয়াছিল। 

[১ করিন্থীয় ১১:৮] কারণ পুরুষ স্ত্রীলোক হইতে নয়, বরং স্ত্রীলোক পুরুষ হইতে।

পুরুষদের জন‍্য বাক‍্য। 

[ইফিষীয় ৫:২৫] স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন। 

এখন অনেকের প্রশ্ন জাগে যদি একজন মহিলাকে ঈশ্বর বাইবেলের বিষয় নিয়ে গভীর জ্ঞান দিয়েছেন, সে কি কখনও সেই জ্ঞানের সাহায্য অন‍্যকে ঈশ্বরের বাক‍্য শিক্ষা দিতে পারবেন না? এর উওর হচ্ছে হাঁ। নিশ্চয় সেই মহিলা/ নারী/ স্ত্রী/ মেয়ে তার জ্ঞান এর সাহায্য অন‍্যকে শিক্ষা দিতে পারেন। যেমন ঈশ্বর তাঁর রাজ‍্যের জন‍্য পুরুষদেরকে ব‍্যবহার করেন, ঠিক তদ্রূপ ঈশ্বর তাঁর রাজ্যের জন্য মহিলা/ নারী/ স্ত্রী/ মেয়েদেরকেও ব‍্যবহার করেন। কিন্তু সেই বাইবেলের গভীর জ্ঞান তা ঈশ্বরের ব্যবস্থায় বশীভূত স্বীকার করে, সেই মহিলা/ নারী/ স্ত্রী/ মেয়ে তার জ্ঞান এর আনন্দ নিতে পারেন। বাইবেলের দৃষ্টি কোন দিয়ে সেই জ্ঞান এর সাহায্যে অপরকে শিক্ষা দিতে পারেন যেমন; সানডে স্কুলে বাচ্চাদের, বা নিজের ঘরের বাচ্চাদের, বা মেয়েদেরকে শিক্ষা দিতে পারে যেমন বাক্য বলে;

[তীত ২:৩-৫] সেইরূপে প্রাচীনাদিগকে বল, যেন তাঁহারা আচার ব্যবহারে ভয়শীলা হন, অপবাদিকা কি বহুমদ্যের দাসী না হন, সুশিক্ষাদায়িনী হন; তাঁহারা যেন যুবতীদিগকে সংযত করিয়া তুলেন, যেন ইহারা পতিপ্রিয়া, সন্তানপ্রিয়া, সংযতা, সতী, গৃহকার্য্যে ব্যাপৃতা, সুশীলা, ও আপন আপন স্বামীর বশীভূতা হয়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের বাক্য নিন্দিত না হয়।

[২ তীমথিয় ৩:১৫] আরও জান, তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সে সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান্‌ করিতে পারে।

একজন নারী/ স্ত্রী/ মেয়ে ঈশ্বর যে তাকে বাইবেলের বিষয় গভীর জ্ঞান দিয়েছেন, আর যদি সেই জ্ঞানকে বাইবেলের হিসাবে ব‍্যবহার করে, বাইবেলের অধিনতা স্বীকার করে অর্থাৎ বাইবেলের হিসাবে বশীভূত হয়ে তার জ্ঞানের সাহায্যে, কোন একজন শিশু পুএ সন্তানকে খুব গভীর ভাবে বাইবেলের শিক্ষায় তৈরী করে। পরবর্তীকালে সেই পুএ সন্তান বড় হয়ে খুব বড় একটা পাষ্টার হয়ে যায়, মানে সেই নারী/ স্ত্রী/ মেয়ে যখন এতো পরিশ্রম করে, ঈশ্বরের একজন যোগ‍্য দাস তৈরী করেন। ঈশ্বর কি সেই নারী/ স্ত্রীকে/ মেয়েকে তার প্রতিফল দিবেন না?

নিশ্চয়, ঈশ্বর সেই শিক্ষক অর্থাৎ মহিলা/ নারী/ স্ত্রী/ মেয়েকে তার পুরস্কার দিবেন। দেখছেন একজন মহিলা/ নারী/ স্ত্রী/ মেয়ের মাধ‍্যমে ঈশ্বরের কত বড়ো একটা পরিকল্পনা সফল হচ্ছে। এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়ে যায় যখন একজন মহিলা/ নারী/ স্ত্রী/ মেয়ের মাধ্যমে ঈশ্বরের এতো বড় একটা পরিকল্পনা সফল হয়, তবে কেন মণ্ডলীতে মহিলা/ নারী/ স্ত্রী/ মেয়েদের এত ইচ্ছা জাগে পুরুষের সামনে ঈশ্বরের বাক্যে প্রচার করা বা শিক্ষা দান করা? সেই নারী/মহিলা/ স্ত্রী/ মেয়েরা ঈশ্বরের সেই গভীর জ্ঞানের দান কিভাবে বাইবেলে হিসাবে ব‍্যবহার করতে হয় তা কেন স্বীকার করতে চায় না?

এর মানে উওর কি দাঁড়াছে! যে, সেই নারী/মহিলা/ স্ত্রী/মেয়ে তার দানকে নিয়ে খুশি নয়। সে যখন ঈশ্বরের একটা বাক‍্য উলঘন করছেন, পরবর্তীকালে কি ঈশ্বরের বাক‍্য উলঘন করবে না বল! নিশ্চয় উলঘন করবেই। ঈশ্বর তাঁর রাজ‍্যের জন্য নারী/মহিলা/ স্ত্রী/ মেয়েদেরকে ভরপুর ভাবে ব‍্যবহার করেন। একজন নারী/মহিলা যে ভাবে একজন শিশু সন্তানকে মানুষ করে তুলে সেই ভাবে ছেলে/পুরুষরা পারে না। ঈশ্বর নারী/মহিলাদের অধিক মমতা হয় দিয়েছেন। একজন শিশু সন্তানকে প্রেমসহকারে ভালোবেসে যেই ভাবে পুরুষ পারে না সেই ভাবে নারী/মহিলারা শিক্ষা দিতে পারে। 

ঈশ্বর সকলকে বোঝার মত জ্ঞান প্রদান করুন। এবং এই লেখার সাহায্য ঈশ্বর সকলকে আশীর্বাদ করুন। আমেন।।

Post a Comment

0 Comments