বাইবেল ট্রিনিটি সম্পর্কে কী শিক্ষা দেয়?
তৃতীয় পর্বঃ- ৩
এই বিষয়কে নিয়ে ভালো ভাবে জানার জন্য
প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্ব অশ্যই দেখবেন। কারণ প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্বেয়
এই বিষয়কে বিস্তারিত ভাবে বোঝানো হয়েছে যার লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে। আজকে আমরা কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করব।
প্রশ্নঃ- ট্রিনিটি ঈশ্বর (ত্রিত্ব ঈশ্বর) সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন কি?
উওরঃ- হাঁ, কারণ যখন আমরা অন্য কোন ধর্মে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করি তখন আমাদের জানা প্রয়োজন। যেই ব্যক্তিকে আমরা সুসমাচার শুনাছি সেই ব্যক্তিকে যেন আমরা পিতা, পুএ, পবিত্র আত্মা এই তিন ব্যক্তির সম্বন্ধে যেন বোঝাতে পারি। নচেৎ সেই ব্যক্তির ভুল ধারনা হতে পারে। সেই ব্যক্তি মনে করবেন যে, তিন ব্যক্তি মানে তিন ঈশ্বর, এবং আমরা ত্রিত্ব ঈশ্বরের সম্বন্ধে জানলে ও ঈশ্বরের প্রতি আমাদের প্রেম ও বিশ্বাস আরো গভীর হতে যাবে তাই আমাদের জানা প্রয়োজন।
প্রশ্নঃ- ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করেছে ?
উওরঃ- ঈশ্বরকে কেউ সৃষ্টি করেননি, ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বয়ং নিজে থেকে। ঈশ্বর সৃষ্টি মধ্যে পড়ে না যেমনঃ- গাছপালা,পশু-পাখি,মানুষ। আমরা জানি এই সব স্বয়ং ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন।
প্রশ্নঃ- যীশু কি কখনো বলছেন আমি ঈশ্বর?
উওরঃ- এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য প্রথমত সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, আপনি কি বিশ্বাস করেন বাইবেলে ঈশ্বরের পুস্তক বলে! যদি বলেন না তবে আপনি সজা ভাবে বলতে পারেন তবে উওর জেনেও আপনার কিছু লাভ হবে না। কোথায় বলতে গেলে আপনাকে বাইবেলের সম্পূর্ণ অধ্যায় বা পদ দেখিয়ে ফেলব তবেও বিশ্বাস করবেন না যে তিনি ঈশ্বর বলে। যদি বলে আমি বিশ্বাস করি বাইবেলে ঈশ্বরের পুস্তক বলে তখন উনাকে কয়েকটি বাক্য দেখাতে পারেন তেমন;
[যোহন ১:১] আদিতে বাক্য ছিলেন,এবং বাক্য ঈশ্বরের কাছে ছিলেন,এবং বাক্য ঈশ্বর ছিলেন।
[যোহন ১:২] তিনি (যীশু) আদিতে ঈশ্বরের কাছে ছিলেন।
[যোহন ১:১৪] আর সেই বাক্য মাংসে মূর্তিমান হইলে, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করিলেন, আর আমরা তাঁহার মহিমা দেখিলাম, যেমন পিতা হইতে আগত একজাতের মহিমা,তিনি অনুগ্ৰহে ঐ সত্যে পূর্ণ।
একদিন কি হয়েছে প্রভু যীশু তাঁর পরিচয় যিহুদীদেরকে দেওয়ার পর ও যিহূদীরা তাঁকে বিশ্বাস করছিলো না। তখন যীশু তাদেরকে বলছিল যে, কেউ যদি আমার বাক্য পালন করে, সে কখনো ও আর মৃত্যু দেখতে পাবে না তখন যিহুদীরা বল এখন আমরা জানলাম যে তুমি ভূতগ্ৰস্ত, অব্রাহাম আর ভাববাদীরা মারা গেছে আর তুমি বল, কেউ যদি আমার বাক্য পালণ করে সে আর মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না। তখন যিহুদীরা যীশুকে জিজ্ঞাসা করল তুমি কি আমাদের পিতৃপরুষর অব্রাহাম থেকেও বড়? তিনি তো মারা গেছেন এবং ভাববাদীরা ও মারা গেছেন তুমি নিজের বিষয় কি বল? তখন যীশু বললেন আমি যদি নিজেকে নিজেই গৌরব করি তা কিছু নয় আমার পিতাই আমাকে গৌরব করেছেন যার বিষয়ে তোমরা বলে থাক তিনি আমাদের ঈশ্বর। তোমরা তাঁকে জানোনা আমি তাঁকে জানি, আমি যদি তাঁকে জানি না বলি তোমাদের মতো আমি মিথ্যাবাদী হব, আমি তাঁকে জানি আর তাঁর বাক্যকে পালণ করি।
[যোহন ৮:৫৬] তোমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম আমার(যীশু) দিন দেখিবার আশায় উল্লাসিত হইয়াছিলেন,এবং তিনি তাহা দেখিলেন ও আনন্দ করিলেন।
অর্থাৎ এই পদে যীশু যিহুদীদেরকে বোঝাতে চাইছিল যে অব্রাহামের সাথে যে দেখা করেছিল সেই আমি ছিলাম। অব্রাহাম যখন আমাকে দেখে, দেখে অনেক আনন্দ করেছিল। তখন যিহুদীরা বলল তোমার বয়স এখনো পঞ্চাশ (৫০) হয়নি আর তুমি অব্রাহামের দেখেছো? তখন যীশু কি বলল সেই বাক্যে দেখে নেওয়া যাক;
[যোহন ৮:৫৮] সত্য,সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি,আব্রাহামের জন্মের পূর্ব্বাবধি আমি আছি।
প্রভু যীশু আরও দাবি করেন।
[যোহন ১০:৩০] আমিও পিতা,আমরা এক।
বাইবেলের আরোও অনেক অধ্যায় বা পদ আছে যা থেকে প্রমাণিত হয় যীশুই ঈশ্বর ছিলেন মানে ট্রিনিটি ঈশ্বরের প্রমাণ দেয়।
প্রশ্নঃ- যীশু যদি ঈশ্বর ছিলেন তবে পিতার (ঈশ্বরের) কাছে কেন প্রার্থনা করতেন?
উওরঃ- যীশু 100% মানুষ ও ছিলেন আর 100% ঈশ্বর ও ছিলেন যেমন এই বাক্য মতোন যথা;
[কলষীয় ২:৯] কেননা তাঁহাতেই(যীশু) ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা দৈহিকরুপে বাস করে।
পুএ যীশু ঈশ্বরই ছিলেন কিন্তু এই জগতে যখন জন্ম গ্ৰহন করেছিলেন তখন তিনি নিজেকে ঈশ্বরের স্বরূপ মনে না করে সাধারণ মানুষ মতো হয়ে জন্ম গ্ৰহণ করেছিলেন যেমন বাক্যে ও বলে যথা;
[ফিলিপীয় ২:৬-৮] ঈশ্বরের স্বরূপ বিশিষ্ট থাকিতে তিনি ঈশ্বরের সহিত সমান থাকা ধরিয়া লইবার বিষয়ে জ্ঞান করিলেন না,কিন্তু আপনাকে শূন্য করিলেন, দাসের রূপ ধারণ করিলেন, মনুষ্যদের সাদৃশ্যে জন্মিলেন, এবং আকার প্রকারের মনুষ্যবৎ প্রত্যক্ষ হইয়া আপনাকে অবনত করলেন।
যীশু যখন সাধারণ মানুষ হিসাবে জন্ম নিয়েছিলেন তখন সাধারণ মানুষ হিসাবে যেমন আমাদেরকে প্রার্থনা করতে হয় কোন কিছুর জন্য সেই রকম যীশুকেও পিতার কাছে প্রার্থনা করতে হত। আর সাধারণ মানুষ হিসাবে যীশুকে ও শয়তান দ্বারা পরিক্ষীত হতে হয়েছিল, পুএ হিসাবে পিতা তাঁর কাছে মহান ছিল যেমন বাক্য ও বলে;
[যোহন ১৪:২৮] পিতা আমা অপেক্ষা মহান।
তাই তিনি প্রার্থনা করতেন। যীশুর প্রার্থনা করা আমাদের জন্য একটা উদাহরণ স্বরূপ ছিল, ঈশ্বরের উপরে নির্ভর, ঈশ্বরে অধিনতা স্বীকার করা ও ঈশ্বরের ইচ্ছায় চলা যেমন যীশু সম্পূর্ণ জীবন পিতার (ঈশ্বরের) আদর্শে চলেছিলেন। ট্রিনিটি ভাগ ১ লিঙ্ক উওর জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন। 👉 বাইবেল ট্রিনিটি সম্পর্কে কী শিক্ষা দেয়? ট্রিনিটি ভাগ ২ লিঙ্ক উওর জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন। 👉 বাইবেল ট্রিনিটি সম্পর্কে কী শিক্ষা দেয়?
0 Comments